ভৈরব (কিশোরগঞ্জ) সংবাদদাতা: কিশোরগঞ্জের ভৈরবের তোলাকান্দি এলাকার শ্রমিক ফারুক মিয়া একটি বেকারি কারখানায় চাকরি করতেন। করোনায় বিধি নিষেধের কারণে বেশ কিছুদিন ধরে বেকার সময় কাটছে তার। এ অবস্থায় টানাপোড়েনের মাঝে চলছে অভাবের সংসার। এ পর্যন্ত কারও কাছ থেকে কোন সাহায্য সহায়তা পাননি তিনি।
আজ মঙ্গলবার বসুন্ধরার ত্রাণ সহায়তা পেয়ে আনন্দে আত্মহারা ফারুক মিয়া বলেন, “হায়া না হায়া থাহি (খেয়ে না খেয়ে থাকি) কেউ হবর (খবর) লয়না। বসুন্ধরা তো আমাগো কিছুদিন চলার মত বন্দোবস্ত হরছে (করেছে)।” একই এলাকার আফরোজা নামে এক গৃহবধূ জানান, তার স্বামী একজন হকার। দুই ছেলে, এক মেয়ে নিয়ে অভাবের সংসার তাদের। করোনায় এতদিন কোন সহায়তা পাননি। বসুন্ধরার ত্রাণ সহায়তা পেয়ে খুবই খুশি তিনি।
ভৈরব আইভি রহমান স্টেডিয়ামে বসুন্ধরা গ্রুপের পক্ষ থেকে আজ মঙ্গলবার বেকার হয়ে পড়া ২০০ শ্রমিককে খাদ্য সহায়তা প্রদান করা হয়। প্রত্যেককে ১০ কেজি মিনিকেট চাল, এক লিটার সয়াবিন তেল, দুই কেজি বসুন্ধরা আটা, এক কেজি লবণ, এক কেজি ডাল, ৫০ গ্রাম করে হলুদ, মরিচ, ধনিয়া, জিরা গুড়া ও চারটি মাস্ক দেওয়া হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করেন ভৈরব উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা লুবনা ফারজানা। বিশেষ অতিথি ছিলেন ভৈরব পৌরসভার মেয়র ইফতেখার হোসেন বেনু ও ভৈরব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. শাহীন। এ সময় বসুন্ধরা ফুড এন্ড বেভারেজ ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড এর আঞ্চলিক ব্যবস্থাপক মো. মুকিতুল ইসলাম, বসুন্ধরা সিমেন্ট সেক্টরের সিনিয়র ম্যানেজার মো. মনিরুল ইসলাম, বসুন্ধরা ফুড এন্ড বেভারেজ ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড ভৈরবের পরিবেশক রফিকুল ইসলাম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।