হোসেনপুর (কিশোরগঞ্জ) সংবাদদাতা: যে হাতে মেশিন চালিয়ে পরিবারের সদস্যদের জন্য অন্নের ব্যবস্থা করতেন, তার সে হাত এখন ক্ষত বিক্ষত। পরিবারের উপার্জনশীল ব্যক্তি এখন নিজেই পরিবারের বোঝা।
নাম তার হাবুল মিয়া। কিশোরগঞ্জের হোসেনপুর উপজেলার গোবিন্দপুর ইউনিয়নের গণমান পুরুড়া গ্রামের মৃত রুস্তম আলীর ছেলে তিনি। আখ ভাঙানোর মেশিন চালিয়ে সংসার চালাতেন।
জানা গেছে, করোনাকালীন সময়ে অন্য কোন পেশা না পেয়ে মেশিনে আখ ভাঙিয়ে রস বিক্রি করতেন তিনি। গত ১৯ জুলাই আখ ভাঙানোর সময় অসাবধানতাবশত মেশিনের ভিতরে তার ডান হাত ঢুকে যায়। এতে হাতটি ক্ষত বিক্ষত হয়ে পড়ে। স্থানীয় লোকজন তাকে উদ্ধার করে কিশোরগঞ্জ শহরের একটি বেসরকারি স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে ভর্তি করে। পরিবারের সদস্যরা ধার কর্জ করে কোনমতে হাবুলের চিকিৎসা করায়। এতে তিনি পুরোপুরি সুস্থ হননি।
হাবুল মিয়ার স্ত্রী ময়না আক্তার জানান, আমার পরিবারে পাঁচটি কন্যা সন্তান। পরিবারের একমাত্র উপার্জনশীল স্বামীর ডান হাত ক্ষত বিক্ষত হওয়ায় পরিবারের খাবার যোগাড় ও তার চিকিৎসা করাতে সমস্যা হচ্ছে। তিনি আরও জানান, অর্থের অভাবে উন্নত চিকিৎসা করাতে পারছিনা। তাই স্বামীর চিকিৎসার জন্য সরকার ও সমাজের বিত্তবানদের কাছে সাহায্যের অনুরোধ জানান তিনি।
হোসেনপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ঘটনার খবর পেয়ে হাবুল মিয়াকে সহায়তার আশ্বাস দিয়েছেন।