নিজস্ব প্রতিবেদক: অপরাধ দমনে বিশেষ ভূমিকা রাখায় কিশোরগঞ্জের ১২ পুলিশ কর্মকর্তাকে পুরস্কৃত করা হয়েছে। মঙ্গলবার জেলা পুলিশ লাইন্সের ড্রিল শেডে অনুষ্ঠিত কিশোরগঞ্জ জেলা পুলিশের মাসিক কল্যাণ ও অপরাধ পর্যালোচনা সভায় তাদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন পুলিশ সুপার মোহাম্মদ হাছান চৌধুরী বিপিএম।
মোট ১৫০ টি পরোয়ানা নিষ্পত্তি, নিয়মিত মূলতুবি ২৭৫ টি মামলার মধ্যে ৬০টি নিষ্পত্তি, নিয়মিত মামলায় ৩৮১ জন আসামির মধ্যে ৭৭ জনকে গ্রেফতার এবং ২৫২ পিস ইয়াবা, ২০০ গ্রাম গাঁজা ও ২০ লিটার চোলাই মদ উদ্ধার করে সার্কেল অফিসার হিসেবে প্রথম স্থান অধিকার করেন কিশোরগঞ্জ সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মনতোষ বিশ্বাস। তার প্রাপ্ত পয়েন্ট ৫.১৯।
মোট ১০০ টি পরোয়ানা নিষ্পত্তি, নিয়মিত মূলতুবি ২১৫ টি মামলার মধ্যে ৪৭টি নিষ্পত্তি, নিয়মিত মামলায় ৩০৪ জন আসামির মধ্যে ৫৪ জনকে গ্রেফতার এবং তিনজন আসামিসহ ২৩১ পিস ইয়াবা ও ২০০ গ্রাম গাঁজা উদ্ধার করে অফিসার ইনচার্জ হিসেবে প্রথম স্থান অধিকার করেন কিশোরগঞ্জ সদর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ আব্দুল্লাহ আল মামুন। তার প্রাপ্ত পয়েন্ট ৩.১৪।
মোট ২২ টি পরোয়ানা নিষ্পত্তি, তিনজন আসামিসহ ২৩১ পিস ইয়াবা উদ্ধার, ২৭ টি বি-রোল ইস্যু, তিনটি মামলা নিষ্পত্তি, একটি নন এফআইআর দাখিল ও দুটি বন্দুক চেকিংয়ে এসআই হিসেবে প্রথম স্থান অধিকার করেন কিশোরগঞ্জ সদর মডেল থানার এসআই মো. ইলিয়াছ মিয়া। তার প্রাপ্ত পয়েন্ট ৬৩.১৬।
মোট ১৭ টি পরোয়ানা নিষ্পত্তি, ২৫ টি বি-রোল ইস্যু, একটি নন এফআইআর দাখিলের মাধ্যমে ৪০.০৮ পয়েন্ট নিয়ে এএসআই হিসেবে প্রথম স্থান অধিকার করেন কিশোরগঞ্জ সদর মডেল থানার এএসআই নূরুন্নবী সুমন।
৩৪ টি পরোয়ানা নিষ্পত্তি করে ৫২.৫০ পয়েন্ট নিয়ে ওয়ারেন্ট তামিলকারী অফিসার হিসেবে প্রথম স্থান অধিকার করেন ইটনা থানার বাদলা তদন্ত কেন্দ্রের এএসআই মোস্তাক হোসেন।
একজন আসামিসহ ৮৫৬ পিস ইয়াবা উদ্ধার, তিনটি পরোয়ানা নিষ্পত্তি, একটি নিয়মিত মামলা নিষ্পত্তি করে ১.৭১ পয়েন্ট নিয়ে মাদক উদ্ধারকারী অফিসার হিসেবে প্রথম স্থান অধিকার করেন নিকলী থানার এসআই আমিনুল ইসলাম।
মোট ১১ জন আসামিসহ ৯ কেজি ৪০০গ্রাম গাঁজা, ১৩০০ পিস ইয়াবা, ৫০ বোতল বিদেশি মদ ও একটি মোটরসাইকেল উদ্ধার ও দুটি মামলা নিষ্পত্তি করে শ্রেষ্ঠ ডিবি অফিসার হিসেবে পুরস্কৃত হন কিশোরগঞ্জ জেলার গোয়েন্দা শাখার এসআই মোবারক হোসেন।
সড়ক পরিবহন আইন-২০১৮ অনুসারে মাসে ৮০ টি মামলা রুজু, ১০৭ টি মূলতুবি মামলার মধ্যে ৯১ টি নিষ্পত্তি করে শ্রেষ্ঠ ট্রাফিক অফিসার হিসেবে পুরস্কৃত হন কিশোরগঞ্জ সদর ট্রাফিকের টিএসআই/১৪৯ বিপ্লব দাস।
এছাড়া বিশেষ পুরস্কার দেওয়া হয় চারজনকে। তাদের মধ্যে একটি একনালা বন্দুক উদ্ধার করেন বাজিতপুর থানার এসআই মো. রফিকুল ইসলাম। একটি পাইপগান, শর্টগানের কার্তুজের খোসা একটি ও একটি চাকু উদ্ধার করেন করিমগঞ্জ থানার এসআই মো. আব্দুল মান্নান। কিশোরগঞ্জ সদর থানার চাঞ্চল্যকর হত্যা মামলার রহস্য উদঘাটন, ৭ জন বিবাদী গ্রেফতার ও অটোরিকশা উদ্ধার করেন সদর মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. টুটুল উদ্দিন। ডিসেম্বর মাসে চট্টগ্রামে চাঞ্চল্যকর আইনজীবী হত্যা মামলার প্রধান আসামি গ্রেফতার করে ভৈরব থানার ইন্সপেক্টর মো. শাহিন ও তার দল।
অনুষ্ঠানে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) মো. মোস্তাক সরকার, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস্) মুকিত সরকার উপস্থিত ছিলেন।
এ প্রসঙ্গে পুলিশ সপার মোহাম্মদ হাছান চৌধুরী বলেন, পুরস্কার প্রাপ্তিতে সংশ্লিষ্ট পুলিশ সদস্যদের মাঝে উৎসাহ উদ্দীপনা বৃদ্ধি পাবে এবং অন্যরাও আগ্রহী হবে। এতে করে কাজের গতি ত্বরান্বিত হবে এবং মানুষ প্রত্যাশিত সেবা পাবে।