নিউজ একুশে ডেস্ক: লক্ষ্মীপুর জেলার চন্দ্রগঞ্জ থানার ক্লুলেস ডাকাতি মামলার রহস্য উদঘাটন ও পাঁচ আসামিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। উদ্ধার করা হয়েছে লুণ্ঠিত স্বর্ণালঙ্কার।
গ্রেফতার পাঁচ আসামি হলেন চন্দ্রগঞ্জ থানার দক্ষিণ মান্দারি গ্রামের মনছুর আহাম্মদের ছেলে লিটন (৩৯), চর চামিতা গ্রামের মৃত নুর হোসেনের ছেলে হৃদয় (১৯), রতনের খিল গ্রামের সফি উল্যাহর ছেলে বেলাল হোসেন (৩৯), রামগতি থানার চর কলাকোপা গ্রামের আব্দুর রশিদের ছেলে আবুল কালাম (৩৮) ও নোয়াখালী জেলার সুধারাম থানার সাইদুল হক ওরফে আরিফ (১৯)।
সোমবার পুলিশ সুপারের কার্যালয়ের সভাকক্ষে এ বিষয়ে প্রেস ব্রিফিং করেন পুলিশ সুপার পদে পদোন্নতিপ্রাপ্ত অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস্) মো. হাসান মোস্তফা স্বপন।
প্রেস ব্রিফিংয়ে জানানো হয়, গত ৩০ ডিসেম্বর ভোর সাড়ে ৪ টার দিকে লক্ষ্মীপুর জেলার চন্দ্রগঞ্জ থানার পূর্ব আলাদাদপুর গ্রামের মুহাম্মদ কবিরের বাড়িতে ডাকাতি সংঘটিত হয়। ডাকাতরা স্বর্ণালঙ্কার ও নগদ টাকাসহ বিভিন্ন মালামাল নিয়ে যায়। এ ব্যাপারে চন্দ্রগঞ্জ থানায় মামলা হলে পুলিশ পরিদর্শক বেলায়েত হোসেনকে তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়।
মামলার পরিপ্রেক্ষিতে গোয়েন্দা নজরদারী ও তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় চন্দ্রগঞ্জ থানার পুলিশ গত ৮ জানুয়ারি লিটন এবং ৯ জানুয়ারি হৃদয়কে গ্রেফতার করে। তাদেরকে আদালতে প্রেরণ করলে আসামি লিটন ফৌজধারী কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করেন। তার স্বীকারোক্তির পরিপ্রেক্ষিতে পুলিশ গত ১২ জানুয়ারি দুপুরে কুমিল্লা জেলার চৌদ্দগ্রাম থানার মিয়ার বাজার এলাকা থেকে মামলার মূল আসামি বেলাল হোসেনকে গ্রেফতার করে। জিজ্ঞাসাবাদে বেলাল ডাকাতির ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে অন্য ডাকাতদের নামও প্রকাশ করেন। পরে লুণ্ঠিত স্বর্ণালঙ্কার চৌদ্দগ্রাম থানার মিয়ার বাজারের শুভেচ্ছা জুয়েলার্স ও প্রীতি জুয়েলার্স থেকে উদ্ধার করা হয়। উদ্ধারকৃত স্বর্ণালঙ্কারের মূল্য ১ লক্ষ ৩৪ হাজার টাকা বলে পুলিশ জানায়।
আসামি বেলালের দেওয়া তথ্যমতে ঘটনার সঙ্গে জড়িত সাইদুল হক ওরফে আরিফকে মিয়ার বাজার থেকে গ্রেফতার করা হয়। পরে আসামি বেলাল ও সাইদুল হক আরিফের দেওয়া তথ্যমতে নোয়াখালী জেলার মাইজদী এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয় আবুল কালামকে।
ঘটনার সঙ্গে জড়িত অন্য আসামিদেরকে গ্রেফতার ও লুণ্ঠিত অবশিষ্ট মালামাল উদ্ধারে চেষ্টা চলছে বলে সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়।
প্রেস ব্রিফিংয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মোহা. রেজাউল হক, চন্দ্রগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ কায়সার হামিদ ও জেলা পুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।