নিজস্ব প্রতিবেদক: প্রয়াত বাউল শিল্পী হোসেন আলীর প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছে কিশোরগঞ্জ জেলা উদীচী শিল্পী গোষ্ঠী। জেলা উদীচীর সভাপতি সাখাওয়াত হোসেন খান ও সাধারণ সম্পাদক বাবুল রেজা মরদেহে পুষ্পস্তবক অর্পন করেন।
এ সময় জেলা সিপিবির সাধারণ সম্পাদক রঞ্জিত কুমার সরকার, বাঁশি শিল্পী হাবিবুর রহমান ও তরুণ কবি আসিফ নূর উপস্থিত ছিলেন।
শনিবার জোহরের নামাজের পর বাদে শোলাকিয়া মসজিদের সামনে জানাযা শেষে গ্রামের সামাজিক গোরস্তানে তাকে সমাহিত করা হয়।
উল্লেখ্য, সাত্ত্বিক বাউলশিল্পী হোসেন আলী (৮৮) গত শুক্রবার রাত ১১.১০ টায় কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার বাদে শোলাকিয়া গ্রামে নিজ বাড়িতে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। আমৃত্যু বাউলবলয়ে ছিলেন সাধক এ শিল্পী। সহজ, সাধারণ জীবন অতিবাহন করেছেন তিনি। অনন্ত মানুষ–আদর্শের প্রকৃতি ছিল তার জীবন যাপনে। অমোঘ সাধনব্রতে তাকে অনুপ্রেরণা যুগিয়েছেন তার অত্যন্ত সরল গুণবতী স্ত্রী রেজিয়া খাতুন। সহজ বাউলজীবন কতোটা বিষয়ী প্যাড়ামুক্ত বা প্রশান্তিময় তা তার কথা আলোচনায় বোঝা যেতো। দুই ছেলে, দুই মেয়ের জনক ছিলেন তিনি। কয়েক বছর আগে প্রয়াত বড় ছেলে আসাদ মিয়া গানের সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন।
বাউল ইসমাইল মোল্লা ও তাহের উদ্দীন খানের শিষ্যত্ব লাভ করেছিলেন হোসেন আলী। তাহের উদ্দীন খান, বাউলসাধক অমর চন্দ্র শীল, মকবুল হোসেন প্রমুখের সঙ্গে দেশের বিভিন্ন জেলায় গান পরিবেশন করেছেন তিনি। মূলধারার কবি দ্বিজদাস, মনমোহন দত্ত, জালাল উদ্দীন খাঁ, ইসমাইল মোল্লা, আলাল উদ্দিনসহ আরো অনেকের রচিত গান তিনি গাইতেন আসরে আসরে। গাইতেন পারস্যদেশের মজ্জুব কবি মনসুর হাল্লাজকে নিয়ে বাঁধা দীর্ঘ গীতি, একঘণ্টা পনেরো মিনিটের মতো সময় লাগতো যার সমাপ্তে পৌঁছাতে।