কুবি সংবাদদাতা: কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুবি) যথাযোগ্য মর্যাদায় উদযাপিত হয়েছে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস। দিবসটি উপলক্ষ্যে বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের সদস্যরা শহীদ মিনারে ফুল দিয়ে মুক্তিযোদ্ধা ও শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান।
বুধবার সকাল সাড়ে ১০টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ সোলায়মান এর নেতৃত্বে প্রশাসনিক ভবনের সামনে থেকে শোভাযাত্রা শুরু হয়ে ক্যাম্পাসের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে গিয়ে শেষ হয়। পরে কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন প্রক্টর অধ্যাপক ড. মো. আবদুল হাকিম, রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেনসহ বিভিন্ন অনুষদের ডিন, হল প্রভোস্ট, বিভাগীয় প্রধান এবং শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ।
পুষ্পার্ঘ অর্পণ শেষে সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভায় প্রক্টর অধ্যাপক ড. মো. আবদুল হাকিম বলেন, স্বাধীনতা শব্দটির অর্থ কি আগে সেটা আমাদের বুঝতে হবে। স্বাধীনতা মানে মৌলিক চাহিদার পাঁচটি জিনিস। জুলাই ২৪ অভ্যুত্থানের মাধ্যমে আমরা যে স্বাধীনতা পেয়েছি, সেটা আমরা সততা ও কাজের মাধ্যমে প্রমাণ করবো।
কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ সোলায়মান বলেন, আমরা এমন একটি দিবসে এখানে একত্রিত হয়েছি, যে দিবসটির কল্যাণে আমরা শুধুমাত্র একটি পতাকা বা একটি ভূখণ্ড পাইনি, এটি আমাদের কথা বলার অধিকার, মতামত প্রকাশের অধিকার, কাজের অধিকার এনে দিয়েছে। একসময় আমরা নির্যাতিত ছিলাম। সেই নির্যাতন থেকে মুক্তির জন্য এদেশের আপামর জনসাধারণ ১৯৭১ সালে ঝাঁপিয়ে পড়েছেন, জীবন উৎসর্গ করেছেন। তাদেরকে আজকের এই দিনে শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করছি।
তিনি আরও বলেন, স্বাধীনতার ৫৪ বছর পরও এদেশের মানুষ স্বাধীনতার প্রকৃত স্বাদ বা উপলব্ধিটুকু এখনো পায়নি। এই না পাওয়ার পিছনে আলোচনা-সমালোচনা থাকলেও আমি মনে করি জাতি গঠনে, জাতি বিনির্মানে এদেশের শিক্ষিত ও সভ্য সমাজের যে ভূমিকা তাতে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় অন্যতম ভূমিকা রাখতে পারে। এদেশের ছাত্র জনতার ২৪ এর গণআন্দোলনকে ধারণ করে দৃঢ় ঐক্য, সততা, আন্তরিকতা, দেশপ্রেমের মাধ্যমে সুন্দর সাম্যের বাংলাদেশ উপহার দিতে আমরা নিজেদেরকে নিয়োজিত রাখবো।
উল্লেখ্য, ২৫ মার্চ বাদ জোহর নিহতদের স্মরণে কেন্দ্রীয় মসজিদে বিশেষ মোনাজাত ও ২৫ মার্চে রাত ১০.৩০টা থেকে ১০.৩১টা পর্যন্ত ক্যাম্পাসে এক মিনিটের প্রতীকী ব্ল্যাক-আউট কর্মসূচি পালন করা হয়।