ঢাকাFriday , 4 April 2025
  1. অপরাধ
  2. অর্থনীতি
  3. আন্তর্জাতিক
  4. ইতিহাস ঐতিহ্য
  5. করোনা আপডেট
  6. ক্যাম্পাস
  7. ক্রীড়া জগৎ
  8. জাতীয়
  9. তথ্য প্রযুক্তি
  10. ধর্ম
  11. নারী অধিকার
  12. প্রবাস সংবাদ
  13. বিনোদন
  14. রাজনীতি
  15. সম্পাদকীয়
আজকের সর্বশেষ সবখবর

মিঠামইনে কৃষক জজ মিয়ার মৃত্যু নিয়ে রহস্য

প্রতিবেদক
-
April 4, 2025 12:19 pm
Link Copied!

নিজস্ব প্রতিবেদক: কিশোরগঞ্জের মিঠামইনে কৃষক জজ মিয়ার (৬৫) মৃত্যুকে কেন্দ্র করে রহস্যের সৃষ্টি হয়েছে। এ ঘটনায় অপমৃত্যু মামলা হয়েছে মিঠামইন থানায়। 

জজ মিয়া মিঠামইন উপজেলার কেওয়ারজোর ইউনিয়নের হেমন্তগঞ্জ এলাকার বাসিন্দা। ঈদের আগের দিন রবিবার হেমন্তগঞ্জ বাজার মসজিদের সামনে মারা যান তিনি।

তার মৃত্যু নিয়ে এলাকায় রহস্যের সৃষ্টি হয়েছে, এলাকাবাসী জানিয়েছেন মিশ্র প্রতিক্রিয়া।

জজ মিয়ার পরিবারের দাবি দুপক্ষের ঝগড়া থামাতে গিয়ে হামলার শিকার হয়ে আঘাতে মারা যান তিনি৷ তবে পুলিশ, প্রত্যক্ষদর্শী এবং এলাকাবাসী বলছেন ভিন্ন কথা। 

ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী দর্জিকারিগর আইনুল হক বলেন, আসরের নামাজের পর জজ মিয়া পা পিছলে পড়ে গেলে দুজন লোক ধরাধরি করে মসজিদে আনে। পরে তার মাথায় পানি ঢালা হয়। এখানে কোনো ঝগড়া হয়নি। অপর প্রত্যক্ষদর্শী শহীদ মিয়া বলেন, ইফতারের আগে জজ মিয়া আমার সামনেই দাঁড়ানো ছিল। হঠাৎ দেখি তিনি পড়ে গেছেন। সঙ্গে সঙ্গেই তার মাথায় পানি ঢালি। পরে তাকে চিকিৎসার জন্য ডাক্তারের কাছে নেওয়া হয়। এখানে কোনো ঝগড়াঝাটি হয়নি। কিন্তু চেয়ারম্যান বলে বেড়াচ্ছেন জজ মিয়াকে হত্যা করা হয়েছে। বিষয়টি সম্পূর্ণ মিথ্যা বলে দাবি করেন তিনি। তাদের কথার সঙ্গে মিল পাওয়া গেছে আরেক প্রত্যক্ষদর্শী মদন মিয়ার কথায়। তিনি বলেন, ইফতারের আগে জজ মিয়া মুসল্লিদের সঙ্গেই ছিলেন। হঠাৎ মাথা ঘুরে পড়ে যান তিনি। তাকে আমরা ধরাধরি করে মসজিদের দোয়ারে এনে মাথায় পানি ঢালি। পরে পরিবারের লোকজন এসে জজ মিয়াকে নিয়ে যায়।

এলাকার বিএনপি কর্মী সজিব মিয়া ও নজির ইসলাম জানান, কেওয়ারজোর ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান আবুল কাশেম সম্প্রতি জেল থেকে বের হয়ে এলাকায় এসে বিভিন্ন লোককে হুমকিধমকি দিতে থাকেন। বিএনপির নেতাকর্মীরা এর প্রতিবাদ করেন। ঈদের আগের দিন উভয়পক্ষের মধ্যে ধাওয়াপাল্টা ধাওয়া হয়। পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে৷ সময় শুনি জজ মিয়া নামে একজন মুরুব্বি লোক স্ট্রোক করে মারা গেছেন। বিষয়টিকে কাশেম চেয়ারম্যান হত্যাকাণ্ড হিসেবে এলাকায় প্রচার করে বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি করার চেষ্টা চালাচ্ছেন। তিনি এর সুষ্ঠু তদন্তের দাবি জানান। 

জজ মিয়ার ছেলে আলী আজগর বলেন, এলাকায় দুপক্ষের সংঘর্ষ চলাকালে ফেরাতে যান তার বাবা। তখন বুকে আঘাত লেগে মারা যান তিনি। সুষ্ঠু তদন্তসাপেক্ষে তিনি এর বিচার দাবি করেন।

স্থানীয় একটি ডায়াগনস্টিক সেন্টারের চিকিৎসক ডা. হাবিবুর রহমান জানান, ৩০ মার্চ বিকালে জজ মিয়াকে তার কাছে চিকিৎসার জন্য আনা হয়। তখন পরীক্ষা করে বুঝতে পারেন তিনি বেঁচে নেই।

মিঠামইন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শফিউল আলম জানান, পূর্ব শত্রুতাবশত ঈদের আগের দিন দুপক্ষের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া হয়। এতে কেউ আহত হয়নি। ঘটনাস্থল থেকে প্রায় ৫০০-৭০০ গজ দূরের একটি মসজিদের সামনে জজ মিয়া পা পিছলে পড়ে গিয়ে স্ট্রোক করে মারা যান।

এ ঘটনায় থানায় অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে। ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।

আপনার মন্তব্য করুন