নিজস্ব প্রতিবেদক: কিশোরগঞ্জে বেড়াতে এসে গণধর্ষণের শিকার হয়েছেন এক নারী। রবিবার রাতে কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার গাইটাল নামাপাড়া জামতলা এলাকায় ঘটনাটি ঘটে। এ ঘটনায় গ্রেফতার দুই আসামীকে মঙ্গলবার কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
এ ব্যাপারে সোমবার কিশোরগঞ্জ মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন ধর্ষণের শিকার নারীর মামা। পুলিশ তাৎক্ষণিকভাবে অভিযান চালিয়ে রাকিব (২০) ও রুবেল (২৪) নামে দুইজনকে গ্রেফতার করে। রাকিব ময়মনসিংহ জেলার ত্রিশাল উপজেলার বালিয়াপাড়া গ্রামের হাসমতের ছেলে ও রুবেল কিশোরগঞ্জ শহরের গাইটাল এলাকার রমজান মিয়ার ছেলে। রাকিব গাইটাল নামাপাাড়া এলাকায় থাকেন। পলাতক আসামীরা হলেন, কিশোরগঞ্জ শহরের গাইটাল নামাপাড়া এলাকার সুরুজ মিয়ার ছেলে রিয়াদ (২৫) ও কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার বৌলাই এলাকার জমসেদ মিয়ার ছেলে সানি (৪০)। সানি গাইটাল নামাপাড়া এলাকায় শ্বশুর বাড়িতে থাকেন।
পুলিশ ও অন্যান্য সূত্রে জানা গেছে, রবিবার রাতে এক আত্মীয়ের সাথে সিএনজি অটোরিকশাযোগে ঘুরতে বের হন এ নারী। রাত ২টার দিকে কিশোরগঞ্জ বাসস্ট্যান্ডের একটি হোটেলে খাবার খান তারা। এ সময় কয়েকজন বখাটে যুবক হোটেলে গিয়ে পরিচয় জানার ছলে তাদেরকে হুমকি ধমকি দেন। পরে হোটেল থেকে বের হয়ে যাবার সময় বখাটে যুবকরা তাদের গতিরোধ করে। তারা সিএনজি অটোরিকশা চালক ও তার সাথে থাকা ব্যক্তিকে জোরপূর্বক তাড়িয়ে দিয়ে নারীকে গাইটাল নামাপাড়া জামতলা এলাকায় নিয়ে ধর্ষণ করে। সিএনজি অটোরিকশা চালক মোবাইল ফোনে পুলিশকে গণধর্ষণের খবর দিলে পুলিশ তাৎক্ষণিকভাবে ঘটনাস্থলে গিয়ে সিএনজি চালকের সহায়তায় রাকিবকে আটক করে। তার দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে পরে রুবেলকে গাইটাল এলাকা থেকে আটক করে। অপর দুইজন এখনও পলাতক।
গ্রেফতার রকিব ও রুবেলকে মঙ্গলবার আদালতে প্রেরণ করলে বিচারক জেল হাজতে প্রেরণের নির্দেশ দেন।
কিশোরগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু বকর সিদ্দিক ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, অন্য আসামীদেরকে গ্রেফতারে পুলিশ তৎপর রয়েছে।