নিজস্ব প্রতিবেদক: ফুলবাড়ি দিবসে কিশোরগঞ্জে মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার বেলা ১১টা থেকে ১২টা পর্যন্ত শহরের কালীবাড়ি সড়কে তেল-গ্যাস-খনিজ সম্পদ ও বিদ্যুৎ-বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটি কিশোরগঞ্জ জেলা শাখা এ কর্মসূচির আয়োজন করে।
মানববন্ধনে বক্তারা ফুলবাড়ি শহীদদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানান। তারা বলেন, তৎকালীন সরকারের ভুল সিদ্ধান্তের কারণে অনেক তাজা প্রাণ হারাতে হয়েছে। সেদিনের ঘটনায় নিহত ও আহতদেরকে উপযুক্ত ক্ষতিপূরণও দেওয়া হয়নি। তারা আরও বলেন, কিছু আমলা, কিছু মন্ত্রী ও দালালদের পকেট ভারি করতে বিদেশি কিছু কোম্পানী দিয়ে সরকার আমাদের দেশের খনিজ সম্পদ উত্তোলনের দায়িত্ব দেয়। অথচ এসব খনিজ সম্পদ উত্তোলনে আমাদের দেশীয় প্রতিষ্ঠানেরই সক্ষমতা রয়েছে।
তেল-গ্যাস-খনিজ সম্পদ ও বিদ্যুৎ-বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটি কিশোরগঞ্জ জেলা শাখার যুগ্ম আহ্বায়ক প্রকৌশলী সালাহ উদ্দিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন সংগঠনের যুগ্ম আহ্বায়ক ও জেলা বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির নেতা নজরুল ইসলাম শাহজাহান, জেলা বাসদের সমন্বয়ক এডভোকেট শফীকুল ইসলাম, জেলা কমিউনিস্ট পার্টির সাধারণ সম্পাদক আবুল হাসেম মাস্টার, বীর মুক্তিযোদ্ধা হাবিবুর রহমান মুক্তু, জেলা ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্রের সভাপতি সিরাজুল ইসলাম সাত্তার ও সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহমান রুমী, জেলা কমিউনিস্ট পার্টি নেতা এডভোকেট হাসান ইমাম রঞ্জু, বাসদ (মার্কসবাদী) নেতা আলাল মিয়া, বীর মুক্তিযোদ্ধা নূরুল হক, বাসদ নেতা আসাদ আরভিং, বেণু ঘোষ, এডভোকেট সোহেল রানা প্রমুখ।
উল্লেখ্য, ২০০৬ সালের ২৬ আগস্ট দিনাজপুরের ফুলবাড়ি কয়লাখনি থেকে উন্মুক্ত পদ্ধতিতে কয়লা উত্তোলনের জন্য এশিয়া এনার্জি কোম্পানীর বিরুদ্ধে স্থানীয়ভাবে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশে বিডিআরের গুলিতে আন্দোলনকারী তিনজন নিহত ও প্রায় দুই শতাধিক আহত হন। পরে এ আন্দোলন পার্শ্ববর্তী পার্বতীপুর, বিরামপুর ছাড়াও দেশের বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে পড়ে। এ অবস্থায় তৎকালীন বিএনপি-জামায়াত সরকার ফুলবাড়ি চুক্তি করতে বাধ্য হয়। সেই থেকে তেল-গ্যাস-খনিজ সম্পদ ও বিদ্যুৎ-বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল এবং সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠন প্রতি বছর ২৬ আগস্ট ফুলবাড়ি দিবস হিসেবে পালন করে আসছে।