নিজস্ব প্রতিবেদক: আজ কিশোরগঞ্জের মিঠামইন গণহত্যা দিবস। ১৯৭১ সনের ২৬ আগস্ট পাকবাহিনী নিকলীর কিছু রাজাকারের সহযোগিতায় মিঠামইন আক্রমণ করে। তারা হত্যা, ধর্ষণ, লুটতরাজ ও অগ্নিসংযোগ করে কয়েকটি গ্রামে। তৎকালীন পাকিস্তান জাতীয় পরিষদের সদস্য বর্তমান রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ এর বাড়িতেও অগ্নিসংযোগ করেছিল তারা।
মিঠামইনের দুই শতাধিক নারী পুরুষকে সেদিন নির্মমভাবে হত্যা করেছিল বর্বর পাকবাহিনী ও তাদের দোসররা।
সেদিনের ঘটনার বিষয়ে রাষ্ট্রপতি আবদল হামিদ এর ভাতিজা বীর মুক্তিযোদ্ধা শফিকুল আলম মানিক জানান, নিকলীর কিছু রাজাকারের সহযোগিতায় পাকবাহিনী বর্তমান রাষ্ট্রপতির বাড়িতে অগ্নি সংযোগ করে। এছাড়া পাঁচটি হিন্দু গ্রাম সরকার হাটি, বড় হাটি, ফুইল্যাপাড়া, গিরিশপুর ও কালীপাড়ায় নারী ধর্ষণ, অগ্নি সংযোগ ও লুটতরাজ চালায় তারা। পাকবাহিনী ও তাদের দোসররা ঘটনাস্থলেই ৪২জন নিরীহ নারী পুরুষকে হত্যা করে। পরে ভারতে পালিয়ে যাবার সময় ইটনার দিকে আরও প্রায় ২০০ নারী পুরুষকে হত্যা করে তারা।
শফিকুল আলম আরও জানান, এ হত্যাকাণ্ড, ধর্ষণ, লুটতরাজ ও অগ্নি সংযোগে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন রাজাকার ইদু মোল্লা। দেশ স্বাধীন হওয়ার পর বীর মুক্তিযোদ্ধারা ইদু মোল্লাকে ধরে মিঠামইনে এনে হত্যা করেছিলেন। সেদিনের ধর্ষণের শিকার নারীদের মধ্যে একজন এখনও বেঁচে আছেন বলে তিনি জানান।