নিজস্ব প্রতিবেদক: কিশোরগঞ্জের শীর্ষ সন্ত্রাসী হিসেবে পরিচিত ১২ মামলার আসামী আবু হানিফ হাসুকে (৫০) কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। আজ শুক্রবার ভোরে সদর উপজেলার বিন্নাটি ইউনিয়নের দনাইল (শ্যামনগর) এলাকায় ঘটনাটি ঘটে। হাসু কিশোরগঞ্জ শহরের হারুয়া বউ বাজার এলাকার মৃত নূরু মিয়া ওরফে নূর খার ছেলে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, দনাইল (শ্যামনগর) এলাকায় ভোরে কে বা কারা হাসুকে এলোপাতারিভাবে কুপিয়ে ফেলে রাখে। কুপিয়ে তার একটি হাত দেহ থেকে বিচ্ছিন্ন করে ফেলে। স্থানীয় লোকজন গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে কিশোরগঞ্জ ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যায়। তার অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় ময়মনসিংহে রেফার্ড করা হয়। ময়মনসিংহ হাসপাতালে নেওয়ার পর চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এলাকাবাসী আরও জানায়, প্রায় এক সপ্তাহ আগে হাসুর নেতৃত্বে একদল সন্ত্রাসী হোসেনপুর উপজেলার পুমদী এলাকায় সন্ত্রাসী কর্মকান্ড করতে গিয়ে আহত হয় হাসু। হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়ে আবারও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে লিপ্ত হয় সে। তার বিরুদ্ধে হত্যা, নারী নির্যাতন, জমি দখল, মাদক ব্যবসাসহ বিভিন্ন সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের অভিযোগ রয়েছে। তার নেতৃত্বে ২০/২৫ জনের একটি সন্ত্রাসী বাহিনী রযেছে বলেও এলাকাবাসী জানায়। এ বাহিনীর অত্যাচারে অতিষ্ঠ ছিল কিশোরগঞ্জসহ আশেপাশের এলাকার মানুষ। বিগত পৌরসভা নির্বাচনে কিশোরগঞ্জ পৌরসভার ৫ নং ওয়ার্ড থেকে কাউন্সিলর পদে নির্বাচন করে পরাজিত হয় হাসু।
কিশোরগঞ্জ সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু বকর সিদ্দিক জানান, শুক্রবার ভোর সাড়ে ৪টা থেকে ৫টার মধ্যে ঘটনাটি ঘটে। পূর্ব শত্রুতার জের ধরে এ হত্যাকাণ্ডটি সংঘটিত হতে পারে বলে তার ধারণা। হাসুর বিরুদ্ধে কিশোরগঞ্জ সদর মডেল থানাসহ বিভিন্ন থানায় হত্যা, অস্ত্র, মাদক, পুলিশের ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগে ১২টি মামলা রয়েছে বলে তিনি জানান।