নাঈম শেখ, নান্দাইল (ময়মনসিংহ) থেকে: ময়মনসিংহের নান্দাইলে ধান খেতে গলা কাটা অবস্থায় পাওয়া অজ্ঞাত বৃদ্ধের লাশের পরিচয় মিলেছে।
মঙ্গলবার এ হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটন ও মূল হত্যাকারীকে গ্রেফতারের দাবি করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।
স্থানীয় ও পিবিআই সূত্র জানায়, গত ২৩ সেপ্টেম্বর অজ্ঞাত লাশটি পাওয়ার পর পিবিআই নিহতের ফিঙ্গারপ্রিন্ট নিয়ে বৃদ্ধের ঠিকানা শনাক্ত করে। তিনি হলেন নরসিংদী পৌরসভার ৯নং ওয়ার্ডের কাতেহারা মহল্লার মো. ফজলুল হক (৭৫)। গত ২২ সেপ্টেম্বর নান্দাইলে বেড়াতে গিয়ে তিনি নিখোঁজ হন।
পিবিআই সূত্র জানায়, তার বাসায় ভাড়া থেকে সেখানকার একটি টেক্সটাইল মিলে চাকরি করতেন ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলার মোয়াজ্জেমপুর ইউনিয়নের কামালপুর গ্রামের মো. গিয়াস উদ্দিনের ছেলে আবুল হাসান (২৫)। তিনিই বৃদ্ধকে তার গ্রামের বাড়িতে বেড়াতে নিয়ে আসেন।
আবুল হাসানকে গ্রেফতারের পর নান্দাইলের ঘটনাস্থলে নিয়ে গেলে তিনি হত্যাকাণ্ডের কথা স্বীকার করেন।
প্রাথমিকভাবে স্বীকারোক্তিতে আবুল হাসান জানান, সপ্তাহখানেক আগে অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে তার স্ত্রীর সন্তান প্রসব হলে বাড়ির মালিক কিছু অর্থ দিয়ে সাহায্য করেন। এ সময় বাড়ির মালিকের কাছে বেশ কিছু নগদ টাকা দেখে লোভ সামলাতে পারেননি তিনি। পরদিন আবার কিছু টাকা ধার চাইলে মালিক দিতে অস্বীকার করেন। এ অবস্থায় তিনি ক্ষিপ্ত হয়ে কৌশলে বাড়ির মালিককে নিজ এলাকায় বেড়ানোর কথা বললে রাজি হন।
গত ২২ সেপ্টেম্বর সকালে নান্দাইলের উদ্দেশ্যে রওনা হন দুজন। এলাকায় এসে বিভিন্ন জায়গায় ঘুরাফেরা করে রাত গভীর হলে তিনি ওই বৃদ্ধকে নান্দাইলের একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পিছনে ধান খেতে নিয়ে গলা কেটে হত্যা করেন। পরে তার পাঞ্জাবির পকেটে থাকা ৩০ হাজার টাকা ও তিনটি মোবাইল ফোনসেট নিয়ে নেন।
মঙ্গলবার ময়মনসিংহ জেলা পিবিআইয়ের পুলিশ সুপার গৌতম কুমার বিশ্বাসের উপস্থিতিতে ময়মনসিংহের নান্দাইলের কামালপুর গ্রামের ঘটনাস্থলে নিলে হত্যাকাণ্ডের কথা স্বীকার করেন গ্রেফতার হওয়া আবুল হাসান। এ সময় গলা কাটার কাজে ব্যবহৃত একটি দা উদ্ধার করা হয়।