নিউজ একুশে ডেস্ক: ভাড়া নিয়ে ১০/১৫ দিন ভাড়ায় চালানোর পর গোপনে অটোরিকশা বিক্রি করে দেয় দুই প্রতারক। গ্রেফতারের পর তারা আদালতে এ কথা স্বীকার করেছেন।
সোমবার বিকালে কিশোরগঞ্জের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. শহীদুল ইসলাম চৌধুরীর আদালতে তারা স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করেন। তারা হলেন গাজীপুর জেলার কাপাসিয়া উপজেলার বারিসাব পশ্চিমপাড়া গ্রামের হেলাল উদ্দিনের ছেলে বাশির উদ্দিন (২২) ও একই উপজেলার চৌকার চালা গ্রামের নিজামুদ্দিনের ছেলে মোতালিব (৩৬)।
গত ২২ আগস্ট কিশোরগঞ্জ মডেল থানায় এ সংক্রান্ত একটি মামলা দায়ের করেন কিশোরগঞ্জ শহরের চর শোলাকিয়া এলাকার মৃত সোনা মিয়ার ছেলে মিজানুর রহমান (৫২)।
মিজানুর রহমান মামলার এজাহারে উল্লেখ করেন, তার অটোরিকশাটি ভাড়া নিয়ে বাশির উদ্দিন ১০/১৫দিন ভাড়ায় চালান। পরে এক পর্যায়ে গোপনে অটোরিকশাটি বিক্রি করে দেন। মামলাটি পরে পিবিআইয়ে স্থানান্তর হয়। পিবিআইয়ের তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই (নি.) সুমন মিয়া মামলাটির তদন্তে আসামী বাশির উদ্দিনের সাথে মোতালিব (৩৬) নামে আরও একজনের সম্পৃক্ততা পান।
পিবিআই গত রবিবার রাত সাড়ে ১০ টার দিকে বাশির উদ্দিনকে গাজীপুর জেলার জয়দেবপুর উপজেলার মুন্সিবাড়ির ভাড়া বাসা থেকে গ্রেফতার করে। মোতালিবকে রাত সাড়ে ১১টার দিকে কাপাসিয়া উপজেলার গিয়াসপুর বাজার থেকে গ্রেফতার করে।
কিশোরগঞ্জ পিবিআইয়ের পুলিশ সুপার মো. শাহাদাত হোসেন পিপিএম জানান, গ্রেফতারের পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা অটোরিকশাটি ভাঙ্গারির দোকানে ২৬ হাজার টাকায় বিক্রি করে দুজনে ভাগ বাটোয়ারা করে নিয়েছেন বলে স্বীকার করেন। পরে আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দিতেও একই কথা স্বীকার করেন তারা।
তিনি আরও জানান, আসামী বাশির উদ্দিন ও মোতালিব ঘনিষ্ট বন্ধু। বাশির গাঁজা সেবনসহ বিভিন্ন প্রকার চুরির সাথে জড়িত। মোতালিবের বাড়ির কাছে বাজারে সাইকেলের গ্যারেজ রয়েছে। বাশির প্রায়ই রিকশা, মোবাইল ফোন চুরি করে মোতালিবের দোকানে বিক্রি করতেন। মোতালিব এগুলো বিভিন্ন দোকানে বিক্রি করে দিতেন। পরে তারা দুজনে টাকা ভাগ করে নিতেন।