নিজস্ব প্রতিবেদক: শিক্ষকরা হলেন মানুষ গড়ার কারিগর। শিক্ষার্থীরা কে কার সন্তান, একজন শিক্ষকের কাছে এ নিয়ে কোন ভেদাভেদ নেই। একজন অটোচালকের সন্তান যেমন, একজন মন্ত্রী বা আমলার সন্তানও সেরকমই। অটোচালকের সন্তান বড় হয়ে অটো চালাবে, ঠেলাওয়ালার ছেলে ঠেলা চালাবে, সে চিন্তা থেকে বের হয়ে আসতে হবে। বর্তমান প্রেক্ষাপটে একজন অটোচালকের সন্তান বড় হয়ে ম্যাজিস্ট্রেট হচ্ছে, প্রকৌশলী হচ্ছে, চিকিৎসক হচ্ছে, বিমান চালাচ্ছে। শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদেরকে এই স্বপ্ন দেখতে হবে। আর এই স্বপ্ন বাস্তবায়নের কারিগর হলেন শিক্ষক।
বিশ্ব শিক্ষক দিবস উপলক্ষে মঙ্গলবার দুপুরে কিশোরগঞ্জে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের বেসরকারি শিক্ষক কর্মচারী অবসর সুবিধা বোর্ডের সচিব অধ্যক্ষ শরীফ আহমেদ সাদী এ কথাগুলো বলেন।
অধ্যক্ষ শরীফ সাদী আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার ছাত্র ছাত্রীদেরকে বিনামূল্যে বই দিচ্ছে। বিনামূল্যে পড়ার সুযোগ দিচ্ছে। মিড ডে মিল বাস্তবায়নের মাধ্যমে খাদ্যও দেওয়া হচ্ছে। শুধু তাই নয়, উপবৃত্তি দিয়ে সহায়তা দিচ্ছে বর্তমান সরকার। এ সুযোগ কাজে লাগিয়ে সন্তানদেরকে বিদ্যালয়ে পাঠানোর জন্য অভিভাবকদের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
কিশোরগঞ্জ উচ্চ বালিকা বিদ্যালয় মিলনায়তনে জেলা শিক্ষক সমিতি আয়োজিত অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা শামসুন্নাহার মাকসুদা।
জেলা শিক্ষক সমিতির সভাপতি আফাজুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন আরজত আতরজান উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবু বকর সিদ্দিক, উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের সিনিয়র শিক্ষক আবুল হাসেম প্রমুখ।
অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন জেলা শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবীর।
আলোচনা শেষে শোভাযাত্রা বের করা হয়।