নিজস্ব প্রতিবেদক: দোকানঘর বেদখল হয়ে গেছে। এখন দখলদারদের হুমকিতে দোকানে এমনকি নিজের বাড়িতেও ফিরতে পারছেননা ব্যবসায়ী। সংবাদ সম্মেলনে তিনি প্রশাসনের কাছে ন্যায় বিচার দাবি করেছেন। ঘটনাটি কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া উপজেলার হোসেন্দী বাজারের।
বুধবার দুপুরে কিশোরগঞ্জ শহরের একটি কিন্ডার গার্টেন স্কুলে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে ব্যবসায়ী মাজহারুল বাশার মোস্তাকিম জানান, পাকুন্দিয়া উপজেলার হোসেন্দী বাজারে তার ক্রয় করা দোকানটি সম্প্রতি জোরপূর্বক দখল করে নেয় হোসেন্দী পূর্বপাড়ার শরীফ মিয়া ও তার লোকজন। এ সময় দোকানের যাবতীয় মালামালও লুট করে নিয়ে যায়। শরীফ মিয়া পাশের অন্য দাগ ও খতিয়ান নম্বরের জমি ক্রয় করে এখন তার জায়গাটি দখল করে নিয়েছেন বলে অভিযোগ করেন মোস্তাকিম।
এ নিয়ে স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিসহ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উভয়পক্ষের উপস্থিতিতে মোস্তাকিমের পক্ষে রায় দিলেও প্রতিপক্ষ শরীফ ও তার লোকজন তা মানছেননা। এমনকি প্রতিপক্ষ শরীফের দ্বারা প্রভাবিত হয়ে পাকুন্দিয়া থানার উপ পরিদর্শক মিজানুর রহমান দোকানের মালিকানা ছেড়ে দেওয়ার বিষয়ে মুচলেকা আদায়ের জন্য মোস্তাকিমকে চাপ দিচ্ছেন বলেও সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করা হয়। তাদের হুমকিতে তিনি দোকানে এমনকি নিজের বাড়িতেও ফিরতে পারছেননা বলে জানান তিনি।
তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন শরীফ মিয়া। তিনি দাবি করেন, মোস্তাকিম ক্রয় করার অন্তত একমাস আগে তিনি জায়গাটি ক্রয় করেন এবং তার নামেই নামজারি করা হয়েছে। জোরপূর্বক দখল নয়, বরং ক্রয় করার পর জমির মালিক তাকে জমি বুঝিয়ে দিয়েছেন বলেও দাবি করেন তিনি। অপরদিকে থানার উপ পরিদর্শক মিজানুর রহমান মোস্তাকিমের অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে দাবি করেন।
পাকুন্দিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. সারওয়ার জাহান জানান, মোস্তাকিম তার অভিযোগ নিয়ে থানাতেই আসেননি। তিনি আরও জানান, মোস্তাকিম এ বিষয়ে ডিআাইজি মহোদয়ের কাছে লিখিত অভিযোগ করেছিলেন। সে অনুযায়ী তিনি বিষয়টি সুরাহার জন্য চেষ্টা করছেন। কিন্তু মোস্তাকিমকে ডাকলেও তিনি থানায় আসেননি বলে জানান ওসি।
সংবাদ সম্মেলনে মোস্তাকিমের বড় ভাই শফিকুল বাশার আল আমীনও উপস্থিত ছিলেন।