নিকলী (কিশোরগঞ্জ) সংবাদদাতা: কিশোরগঞ্জের নিকলীতে মতিয়র রহমান বীর বিক্রমের ১০ মৃত্যু বার্ষিকী পালিত হয়েছে।
এ উপলক্ষ্যে বুধবার বিকালে মরহুমের পরিবারের পক্ষ থেকে মিলাদ মাহফিল ও বিভিন্ন মসজিদে বিশেষ মোনাজাতের আয়োজন করা হয়।
অনুষ্ঠানে নিকলী উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান রিয়াজুল হক আয়াজ, প্রবীণ আওয়ামী লীগ নেতা কারার গিয়াস উদ্দিন আহমেদ, নিকলী উপজেলা জাতীয়তাবাদী সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংস্থার (জাসাস) আহ্বায়ক কামরুল হাসান, যুবদলের আহ্বায়ক আবদুল মান্নান ও সদস্য সচিব মো. সাইফুল ইসলামসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীরা অংশগ্রহণ করেন।
মতিয়র রহমান নিকলী গোড়াচাঁদ উচ্চ বিদ্যালয়ে পড়ার সময় বাম রাজনীতির সাথে জড়িয়ে পড়েন। ১৯৭১ সালে ময়মনসিংহ পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের শেষ বর্ষের ছাত্র ছিলেন। মুক্তিযুদ্ধ শুরু হলে তিনি নিজ এলাকা কিশোরগঞ্জের নিকলীতে গিয়ে ছাত্র–যুবকদের সংগঠিত করতে থাকেন। পরে ভারতে গিয়ে প্রশিক্ষণ নেন তিনি। প্রশিক্ষণ শেষে তাকে ৫ নম্বর সেক্টরের অধীনে বড়ছড়া সাব সেক্টরে পাঠানো হয়। যুদ্ধের এক পর্যায়ে তিনি কোবরা কোম্পানির যোদ্ধাদের নিয়ে ৩ নম্বর সেক্টরের অধীন কিশোরগঞ্জ এলাকায় আসেন। ২০ অক্টোবর কিশোরগঞ্জ জেলার নিকলী ও ৯ নভেম্বর ইটনায় যুদ্ধ করেন তিনি। ২৭ নভেম্বর তার কোবরা কোম্পানির মুক্তিযোদ্ধারা রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের মধ্য দিয়ে অষ্টগ্রাম মুক্ত করে কিশোরগঞ্জের ভাটি এলাকায় এক বিরাট মুক্তাঞ্চল গঠন করেন। গচিহাটাতেও তার কোবরা কোম্পানি যুদ্ধ করে।
মুক্তিযুদ্ধে সাহসিকতা প্রদর্শনের জন্য মতিয়র রহমান স্বাধীনতার পর বীর বিক্রম খেতাবে ভূষিত হন।