নিজস্ব প্রতিবেদক: কিশোরগঞ্জ রেলস্টেশনে ১১ বছর বয়সী এক শিশুকে ধর্ষণের ১৮দিন পর আসামী মাহমুদুল হাসান সাগরকে (২৫) গ্রেফতার করেছে র্যাব। শুক্রবার ভোরে নেত্রকোনা জেলার বারহাট্টা উপজেলার ঝাউয়াইল এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়। সাগর কিশোরগঞ্জ রেলওয়ে কলোনির বাসিন্দা এবং রেলওয়ের প্রকৌশল বিভাগে মাস্টাররোলে চাকরি করেন।
র্যাব–১৪ সিপিসি–২ কিশোরগঞ্জ ক্যাম্পের কোম্পানী কমান্ডার লেফটেনেন্ট কমান্ডার বিএন এম. শোভন খান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, গত ২০ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় পঞ্চম শ্রেণির এক শিক্ষার্থীকে বন্ধুর জন্মদিনের কথা বলে বাসা থেকে ডেকে কিশোরগঞ্জ রেলস্টেশনের দুতলায় ভিআইপি রেস্টরুমের বাথরুমে নিয়ে হাত পা বেধে ধর্ষণ করেন সাগর। পরে মেয়েটির চিৎকারে স্থানীয় লোকজন রেলওয়ে পুলিশের সহায়তায় দরজা ভেঙ্গে মেয়েটিকে উদ্ধার করেন। এ সময় অভিযুক্ত সাগর জানালা ভেঙে পালিয়ে যান। এ ঘটনায় ঐদিন রাত সাড়ে ৮ টার দিকে মেয়েটির ভাই বাদী হয়ে সাগরকে একমাত্র আসামী করে কিশোরগঞ্জ রেলওয়ে থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করেন। গ্রেফতারের পর আসামী সাগরকে কিশোরগঞ্জ রেলওয়ে থানায় হস্তান্তর করা হয়।
কিশোরগঞ্জ রেলওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. এমদাদুল হক জানান, শুক্রবার দুপুরে আসামী মাহমুদুল হাসান সাগরকে তিনদিনের রিমান্ড চেয়ে কিশোরগঞ্জ চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে প্রেরণ করা হয়। শুক্রবার আদালতের কার্যক্রম বন্ধ থাকায় পরবর্তীতে রিমান্ড শুনানী হবে মর্মে আসামীকে জেলহাজতে পাঠানো হয় বলে জানা গেছে।
মামলার বাদী জানান, ২০ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যার দিকে কিছু বেলুন নিয়ে তাদের বাসায় আসেন সাগর। তার এক বন্ধুর জন্মদিন উপলক্ষে রুম সাজানোর কথা বলে সাগর বাসা থেকে তার বোনকে নিয়ে যায়। বাসায় ফিরতে দেরি হওয়ায় মেয়েটিকে খুঁজতে বের হন পরিবারের সদস্যরা। সে সময় সাগরের মোবাইল ফোন বন্ধ পেয়ে আরও দুশ্চিন্তায় পড়ে যান তারা। পরে স্টেশনের সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে তারা বুঝতে পারেন মেয়েটিকে স্টেশনের দ্বিতীয় তলায় ভিআইপি রেস্টহাউসের একটি কক্ষে নেয়া হয়েছে।
সেখানে গিয়ে কক্ষের দরজা ভেতর থেকে বন্ধ দেখে কক্ষের পাশে যেতেই মেয়েটির চিৎকার শুনতে পান তারা। পরে পুলিশ এবং স্থানীয় লোকজন গিয়ে মেয়েটিকে উদ্ধার করেন।