নিজস্ব প্রতিবেদক: এডভোকেট বিকাশ মজুমদার ছিলেন নিভৃতচারী একজন বড়মাপের নেতা। তিনি স্বপ্ন দেখতেন সুন্দর একটি সমাজের। স্বপ্ন দেখতেন অসাম্প্রদায়ীক ও শোষণমুক্ত বাংলাদেশের। নতুন প্রজন্মকে তার স্বপ্ন বাস্তবায়নের কাজকে এগিয়ে নিতে হবে।
তার স্মরণে আয়োজিত নাগরিক শোকসভায় বক্তারা এ কথাগুলো বলেন।
মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক, কিশোরগঞ্জ জেলা আইনজীবী সমিতির প্রবীণ সদস্য ও সাবেক সহ–সভাপতি, কিশোরগঞ্জ জেলা সম্মিলিত সামাজিক আন্দোলনের উপদেষ্টা এডভোকেট বিকাশ মজুমদার স্মরণে নাগরিক শোকসভার আয়োজন করে জেলা সম্মিলিত সামাজিক আন্দোলন। সংগঠনের সভাপতি এডভোকেট অশোক সরকারের সভাপতিত্বে শনিবার বিকালে কিশোরগঞ্জ পুরাতন আইনজীবী সমিতি মিলনায়তনে শোকসভাটি অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় আলোচনা করেন কিশোরগঞ্জ জেলা পাবলিক লাইব্রেরির সাবেক সম্পাদক এডভোকেট নাসির উদ্দিন ফারুকী, জেলা গণতন্ত্রী পার্টির সভাপতি এডভোকেট ভূপেন্দ্র ভৌমিক দোলন, জেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি এডভোকেট শেখ এ. কে. এম নূরুন্নবী বাদল, জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক পিযুষ কুমার সরকার, জেলা উদীচী শিল্পী গোষ্ঠীর সভাপতি ফিরোজ উদ্দিন ভূইয়া ও সাধারণ সম্পাদক স্বপন কুমার বর্মণ, কিশোরগঞ্জ জেলা পরিষদের সদস্য ফৌজিয়া জলিল ন্যান্সি, সাংবাদিক মোস্তফা কামাল, প্রকৌশলী আনিসুর রহমান, অধ্যাপক ফরিদ আহমেদ, লুৎফুল কবীর, প্রয়াত বিকাশ মজুমদারের মেয়ে ডা. অরুন্ধতী মজুমদার ও জামাতা ডা. বিপ্লব রায়।
সভা সঞ্চালনা করেন জেলা সম্মিলিত সামাজিক আন্দোলনের সাধারণ সম্পাদক খায়রুজ্জামান রবিন।
উল্লেখ্য, গত ২৫ সেপ্টেম্বর দুপুর দেড়টার দিকে কিশোরগঞ্জ শহরের খড়মপট্টিস্থ নিজ বাসভবনে হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে ৭৫ বছর বয়সে পরলোকগমন করেন বিকাশ মজুমদার।
তিনি পাকিস্তান আমলে কিশোরগঞ্জ মহকুমা ছাত্র ইউনিয়নের সহ সভাপতি ছিলেন। স্বাধীনতার পর তিনি কিশোরগঞ্জ জেলা উদীচী শিল্পী গোষ্ঠী ও জেলা ন্যাপের সাধারণ সম্পাদক হন। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যার প্রতিবাদকারীদের তিনি ছিলেন অন্যতম। বঙ্গবন্ধু হত্যার প্রতিবাদ করতে গিয়ে তিনি কারাবরণ করেছিলেন।