করিমগঞ্জ (কিশোরগঞ্জ) সংবাদদাতা: কিশোরগঞ্জের করিমগঞ্জে কালী মন্দিরে হামলার ঘটনায় পুলিশ চারজনকে গ্রেফতার করেছে। তারা হলেন নানশ্রী গ্রামের সাইদুর রহমানের ছেলে মামুনুর রশিদ (২২), পাড়াকুল গ্রামের কুতুবউদ্দিনের ছেলে রিফাত (১৭), একই গ্রামের সেকান্দর আলী চান্দুর ছেলে পল্লী চিকিৎসক কফিল উদ্দিন (৫০) ও জয়কা গ্রামের মাহবুবের ছেলে দেলোয়ার (১০)।
করিমগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শামছুল আলম সিদ্দিকী জানান, ভিডিও ফুটেজ দেখে শনিবার ভোরে করিমগঞ্জের বিভিন্ন স্থান থেকে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়। এরমধ্যে মামুনুর রশিদ করিমগঞ্জের রামনগর গদাউল্লাহর বাড়ি জামে মসজিদের ইমাম।
ওসি আরও জানান, মামুনুর রশিদের নেতৃত্বে ৩০/৩৫ জনের একটি দল কালী মন্দিরে হামলা ও প্রতিমা ভাঙচুর করে এবং গ্রেফতার চারজন ঘটনার সাথে জড়িত থাকার কথা স্বীকারও করেছেন। পরে তাদেরকে সাত দিনের রিমাণ্ডের আবেদন করে আদালতে পাঠানো হয়।
উল্লেখ্য, শুক্রবার বিকালে করিমগঞ্জ উপজেলার গুণধর ইউনিয়নের কদিম মাইজহাটি এলাকায় কালীমন্দিরে হামলা ও প্রতিমা ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে।
খবর পেয়ে সন্ধ্যায় কিশোরগঞ্জ জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শামীম আলম, পুলিশ সুপার মো. মাশরুকুর রহমান খালেদ বিপিএম (বার), র্যাব–১৪ সিপিসি–২ কিশোরগঞ্জ ক্যাম্পের কোম্পানী কমান্ডার এম. শোভন খান, সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (করিমগঞ্জ সার্কেল) ইফতেখারুজ্জামান, করিমগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নাসিরুল ইসলাম খান আওলাদ, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তসলিমা নূর হোসেন ও করিমগঞ্জ থানার ওসি শামছুল আলম সিদ্দিকী ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
মন্দির পরিচালনা কমিটির সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা বীরেন্দ্র চন্দ্র বর্মণ বাদী হয়ে ৯ জনের নামোল্লেখসহ আরও ৩০/৩৫ জনকে আসামী করে শুক্রবার রাতে করিমগঞ্জ থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।