স্টাফ রিপোর্টার: প্রথমবার করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন গত বছরের ২৫ জুন। নিজ বাসায় কোয়ারেন্টাইনে থাকা অবস্থায় শ্বাসকষ্টে আক্রান্ত হন। এ কারণে ৪ জুলাই ভর্তি হন শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। পরে ৯ জুলাই করোনা পরীক্ষার ফল নিগেটিভ হওয়ায় ১০ জুলাই হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়।
কিশোরগঞ্জ সিভিল সার্জন কার্যালয়ের স্টোর কিপার শহরের চর শোলাকিয়া এলাকার বাসিন্দা মিজান উদ্দিন টিটুর করোনা আক্রান্ত হওয়ার প্রথম ঘটনা এটি।
টিকার কার্যক্রম শুরু হওয়ার পর তিনি গত ৮ ফেব্রুয়ারি প্রথম ডোজ এবং ১০ এপ্রিল দ্বিতীয় ডোজ টিকা গ্রহণ করেন। এদিকে গত ১১ জুন ঠাণ্ডাজনিত অসুস্থতায় আক্রান্ত হন তিনি। এ অবস্থায় ঐদিনই করোনা পরীক্ষার জন্য স্যাম্পল দেন। পরদিন করোনা পরীক্ষার ফলাফলে পজিটিভ আসে। বাসায় চিকিৎসা নিয়ে ১৪ দিন পর গত ২৪ জুন আবারও স্যাম্পল দেন তিনি। কিন্তু আবারও পজিটিভ ফলাফল আসে। চিকিৎসা নিয়ে সুস্থতা অনুভব করায় গত ২৮ জুন আবারও স্যাম্পল দেন। আজ মঙ্গলবার ফলাফল আসে নিগেটিভ।
মিজান উদ্দিন টিটু কিশোরগঞ্জের প্রয়াত ভাষাসৈনিক ও মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক মিছির উদ্দীন আহমেদ এর ছেলে। তিনি জানান, করোনায় আক্রান্ত হলেও খারাপ কিছু ঘটবে, সেটা ভাবার কোন কারণ নেই। এজন্য মনোবল শক্ত রাখতে হবে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। আর চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী পুষ্টিকর খাবারের পাশাপাশি ওষুধ খেতে হবে।
এ প্রসঙ্গে তিনি সিভিল সার্জন ডা. মো. মুজিবুর রহমান এবং অফিসের সহকর্মীদের সহযোগিতা ও সহমর্মিতার জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।