নিজস্ব প্রতিবেদক: কমিউনিটি পুলিশিং কমিটির মাধ্যমে সামাজিক সমস্যাগুলো সমাধান করতে পারলে মামলা মোকদ্দমা অনেকাংশে কমে যাবে। আর অপরাধ প্রবণতাও কমবে। অপরাধ নিয়ন্ত্রণ করা গেলে দেশ এগিয়ে যাবে। সেজন্য অপরাধ নিয়ন্ত্রণে কমিউনিটি পুলিশিং কার্যক্রমে আরও গতি আনতে হবে।
কমিউনিটি পুলিশিং ডে-২০২১ উপলক্ষে শনিবার দুপুরে কিশোরগঞ্জে আয়োজিত মতবিনিময় সভা, সনদপত্র ও ক্রেস্ট বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে কিশোরগঞ্জের পুলিশ সুপার মো. মাশরুকুর রহমান খালেদ বিপিএম (বার) এ কথাগুলো বলেন।
পুলিশ সুপার আরও বলেন, কমিউনিটি পুলিশিং কমিটি সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করলে ছোটখাট বিষয় নিয়ে মানুষকে পুলিশের কাছে যেতে হবেনা। এতে করে মানুষের ভোগান্তি কমবে। তিনি বলেন, আগে মানুষ পুলিশ দেখলে ভয় পেত। আর এখন সময় বদলেছে, দৃষ্টিভঙ্গিরও পরিবর্তন হয়েছে। বিপদে আপদে মানুষ এখন পুলিশের কাছে ছুটে আসে। তিনি কমিউনিটি পুলিশিংয়ের কার্যক্রমকে আরও সক্রিয়, বেগবান ও মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছানোর জন্য সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহ্বান জানান।
“মুজিববর্ষে পুলিশ নীতি, জনসেবা আর সম্প্রীতি” এ স্লোগানে কিশোরগঞ্জ পুলিশ লাইন্সে জেলা পুলিশ আয়োজিত অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন কিশোরগঞ্জ কমিউনিটি পুলিশিং কমিটির সভাপতি ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এডভোকেট মো. জিল্লুর রহমান। সম্মানিত অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট এম. এ আফজল, কিশোরগঞ্জ পৌরসভার মেয়র পারভেজ মিয়া, জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি পিপি এডভোকেট শাহ আজিজুল হক, জিপি এডভোকেট বিজয় শংকর রায় ও জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি এডভোকেট ভূপেন্দ্র ভৌমিক দোলন।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন কিশোরগঞ্জ কমিউনিটি পুলিশিং কমিটির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক মোল্লা দুলু। আরও বক্তব্য রাখেন বীর মুক্তিযোদ্ধা আনোয়ার কামাল, অষ্টগ্রাম উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম জেমস, সাংবাদিক সুবীর বসাক, জেলা কৃষক লীগের সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন বাচ্চু ও হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের সাবেক ট্রাস্টি লিপন রায় লিপু।
কমিউনিটি পুলিশিং কার্যক্রমে বিশেষ অবদান রাখায় অনুষ্ঠানে মিঠামইন থানার উপ পরিদর্শক নজরুল ইসলাম ও কুলিয়ারচর উপজেলার রামদী ইউনিয়ন কমিউনিটি পুলিশিং কমিটির সভাপতি আলা উদ্দিনকে ক্রেস্ট ও সনদপত্র প্রদান করা হয়।
এর আগে শোভাযাত্রা ও বেলুন উড়িয়ে অনুষ্ঠানের সূচনা করা হয়। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার অনির্বাণ চৌধুরী।