নিজস্ব প্রতিবেদক: কিশোরগঞ্জ মৎস্য ডিপ্লোমা ইনস্টিটিউটে পরীক্ষার্থীদের কাছ থেকে উদ্ভট খাতে ফি আদায়ের অভিযোগ পাওয়া গেছে। কেন্দ্র ও বোর্ড ফির বাইরে এসব খাতে টাকা দিতে বাধ্য করা হয়েছে পরীক্ষার্থীদের। প্রায় এক মাস আগে এসব ফি নিলেও অদ্যাবধি রসিদ দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ করেছেন পরীক্ষার্থীরা। খোঁজ নিয়ে এসব অভিযোগের সত্যতাও মিলেছে।
পরীক্ষার্থীদের অনেকেই জানান, প্রথম, তৃতীয় ও পঞ্চম পর্বের ফাইনাল পরীক্ষার ফরম পূরণ বাবদ ৯২ জন পরীক্ষার্থীর প্রত্যেকের কাছ থেকে ২৫০০ টাকা করে নিয়েছেন কর্তৃপক্ষ। কোন কোন খাতে এসব টাকা নেওয়া হয়েছে, সেটা তাদেরকে জানানো হয়নি। আগামী ১ নভেম্বর থেকে পরীক্ষা শুরু হবে। অথচ এখন পর্যন্ত তাদেরকে ২৫০০ টাকার রসিদও দেওয়া হয়নি। পরীক্ষার্থীরা আরও জানান, কারিগরি বোর্ডের বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী প্রথম ও তৃতীয় পর্বের কেন্দ্র ফি ৪৫০ টাকা ও বোর্ডের অংশ ২২৫ টাকা। আর পঞ্চম পর্বের কেন্দ্র ফি ৪৫০ টাকা ও বোর্ডের অংশ ৪৭৫ টাকা। অথচ প্রত্যেকের কাছ থেকেই নেওয়া হয়েছে ২৫০০ টাকা করে।
রসিদ না দেওয়ার বিষয়ে ইনস্টিটিউটের অধ্যক্ষ মো. মুনিরুজ্জামানের কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান, সরবরাহ না থাকায় রসিদ দেওয়া যায়নি। তবে সম্প্রতি মৎস্য ইনস্টিটিউট থেকে রসিদ সংগ্রহ করা হয়েছে উল্লেখ করে তিনি জানান, টাকা যেহেতু নিয়েছি, রসিদও দেওয়া হবে। পরীক্ষার মাত্র তিনদিন বাকি, রসিদ দিতে কতদিন লাগবে, এ প্রশ্নের কোন সদুত্তর দিতে পারেননি তিনি।
বিভিন্ন খাতে টাকা নেওয়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন, উদ্ভট খাত নয়, সবগুলো বৈধ খাতেই টাকা নেওয়া হয়েছে বলে দাবি করেন তিনি। কেন্দ্র ও বোর্ড ফির বাইরে প্রত্যেকের কাছ থেকে প্রশিক্ষক সম্মানী বাবদ ৩৫০ টাকা, প্রশিক্ষণ সামগ্রি বাবদ ৩৪০ টাকা, শিক্ষণ কেন্দ্র ফি ২০০ টাকা, ফটোকপি বাবদ ৪০০ টাকা, বোর্ডের সার্ভিস ফি ২১০ টাকা, বিবিধ খাতে ৭৫ টাকাসহ বিভিন্ন খাতে টাকা নেওয়া হয়েছে বলে স্বীকার করেন অধ্যক্ষ।
কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ রয়েছে, কোনভাবেই নির্ধারিত ফি এর অতিরিক্ত ফি নেওয়া যাবেনা। অতিরিক্ত ফি আদায় করলে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।