নিজস্ব প্রতিবেদক: পরোটা ৫ টাকা থেকে ১০ টাকা, তুন্দল রুটি ১০ টাকা থেকে ১৫ টাকা, নান রুটি ২০ টাকা থেকে ২৫ টাকা, ১০ টাকার সবজি ১৫ টাকা। কিশোরগঞ্জের হোটেল-রেস্তোঁরাগুলোতে খাবারের দাম বাড়িয়ে দিয়েছেন মালিকরা। বর্ধিত দাম ১ নভেম্বর থেকে কার্যকর হচ্ছে বলে জানা গেছে।
কিশোরগঞ্জ জেলা হোটেল-রেস্তোঁরা মালিক সমিতি নিজেরাই এ মূল্য নির্ধারণ করে দিয়েছে। বিষয়টি স্বীকার করেছেন জেলা হোটেল-রেস্তোঁরা মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. আবু সাঈদ। শুধু রুটি-সবজির দামই বাড়ানো হয়নি। অন্যান্য সব ধরণের খাবারের দামও বাড়ানো হয়েছে। এক প্লেট খিচুড়ি ১৪০ টাকা থেকে ১৫০ টাকা, চিকেন বিরিয়ানি ১৩০ টাকা থেকে ১৪০ টাকা, কাচ্ছি ১৬০ টাকা থেকে ১৭০ টাকা, কলিজা ভুনা ৮০ টাকা থেকে ১০০ টাকা। এমনি করে প্রায় প্রতিটি খাবারের মূল্য বাড়ানো হয়েছে।
দাম বাড়ানো প্রসঙ্গে সমিতির সাধারণ সম্পাদক আবু সাঈদ বলেন, বাজারে ময়দা, তেল, শাক সবজিসহ প্রায় সবকিছুর দাম বেড়েছে। এ অবস্থায় হোটেলগুলোতে খাবারের দাম বাড়ানো ছাড়া উপায় ছিলনা। পরোটার দাম কেন দ্বিগুণ বাড়ানো হলো, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, পরোটায় আগের চেয়ে বড় করে বানানো হবে। অর্থাৎ যেখানে প্রতি পরোটায় ৭০ গ্রাম ময়দা দেওয়া হত, সেখানে ৮০ গ্রাম ময়দা দেওয়া হবে বলে তিনি জানান।
দাম বাড়ানো অযৌক্তিক উল্লেখ করে জেলা ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্রের সভাপতি সিরাজুল ইসলাম সাত্তার বলেন, এতে করে গরিব ও খেটে খাওয়া মানুষের ওপর বিরূপ প্রভাব পড়বে। তিনি বলেন, একজন গরিব মানুষ যেখানে পরোটা আর সবজিতে ২০ টাকা দিয়ে নাস্তা করতে পারতেন, সেখানে এখন লাগবে ৩৫ টাকা। অথচ গরিব ও খেটে খাওয়া মানুষের আয় বাড়েনি। তিনি বর্ধিত মূল্য প্রত্যাহারের দাবি জানান।
কিশোরগঞ্জ ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক হৃদয় রঞ্জন বণিক দাম বাড়ানোর বিষয় অবগত নন উল্লেখ করে জানান, অযৌক্তিকভাবে দাম বাড়ানো হলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
কিশোরগঞ্জ জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শামীম আলম বলেন, কিসের ভিত্তিতে দাম বাড়ানো হয়েছে, এ বিষয়ে কথা বলার জন্য মালিক সমিতির নেতাদেরকে ডাকা হবে। বিষয়টি অযৌক্তিক মনে হলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।