নিজস্ব প্রতিবেদক: কিশোরগঞ্জের ঐতিহাসিক পাগলা মসজিদে এবার মিলেছে ৩ কোটি ৭ লক্ষ ১৭ হাজার ৫৮৫ টাকা। শনিবার দিনব্যাপী গণনা করে এ টাকা পাওয়া গেছে।
পাগলা মসজিদের প্রশাসনিক কর্মকর্তা শওকত উদ্দিন ভূইয়া এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি আরও জানান, নগদ টাকা ছাড়াও প্রায় এক কেজি স্বর্ণালংকার ও ১১ টি দেশের মুদ্রা পাওয়া গেছে।
এবার প্রায় সাড়ে চারমাস পর খোলা হয় ঐতিহাসিক পাগলা মসজিদের দানবাক্স। শনিবার সকাল ৯টা থেকে গণনা শুরু হয়ে চলে সন্ধ্যা পৌনে ৭ টা পর্যন্ত।
গণনায় অংশ নেন ২৩১ জন কর্মী। তাদের মধ্যে পাগলা মসজিদ পরিচালিত নূরুল কোরআন হাফিজিয়া মাদ্রাসার ১২৭ জন ছাত্র, পাগলা মসজিদ ও মাদ্রাসার ৩৪ জন কর্মচারী, ১০ জন সশস্ত্র আনসার ও রূপালী ব্যাংকের ৬০ জন কর্মকর্তা-কর্মচারী।
প্রথমে ৮টি সিন্দুকের টাকা কয়েকটি বড় বস্তায় ভরা হয়। পরে মসজিদের মেঝেতে রেখে গণনার কাজ শুরু হয়।
জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে গণনা তদারকি করেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) মোহাম্মদ গোলাম মোস্তফা, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ফারজানা খানম ও কয়েকজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট। গণনা চলাকালে পাগলা মসজিদ কমিটির সভাপতি ও জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শামীম আলম এবং কমিটির সম্পাদক ও কিশোরগঞ্জ পৌরসভার মেয়র পারভেজ মিয়া গণনার কাজ পরিদর্শন করেন।
এবার চার মাস ১৭ দিন পর মসজিদের দানবাক্স খোলা হল। এর আগে গত ১৯ জুন দানবাক্স খোলা হয়েছিল। তখন ২ কোটি ৩৩ লাখ ৯৩ হাজার ৭৭৯ টাকা এবং বৈদেশিক মুদ্রা ও স্বর্ণালংকার পাওয়া গিয়েছিল। গতবারের তুলনায় এবার ৭৩ লক্ষ ২৩ হাজার ৮০৬ টাকা বেশি পাওয়া গেছে।