স্টাফ রিপোর্টার: কিশোরগঞ্জ শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে তীব্র জনবল সংকটেও বিরামহীনভাবে চলছে করোনা চিকিৎসা। প্রয়োজনীয় সুযোগ সুবিধার কারণে জেলার ১৩টি উপজেলা ছাড়াও অন্য জেলা থেকেও করোনা চিকিৎসার জন্য অনেকেই এখানে আসছেন।
গত বছরের ১৪ এপ্রিল থেকে করোনা রোগীদের চিকিৎসা শুরু হয় এ হাসপাতালে। এখানে করোনা চিকিৎসায় প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সরঞ্জামসহ সব ধরণের সুযোগ সুবিধা রয়েছে বলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন। ৫০০ শয্যার হাসপাতালটির ১২০টি শয্যা রাখা হয়েছে করোনা রোগীদের জন্য। প্রতিদিন গড়ে ১৮-২০ জন করোনা আক্রান্ত রোগী ভর্তি থাকে বলে হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে।
হাসপাতাল সূত্রে আরও জানা গেছে, গত ২৪ ঘন্টায় করোনা রোগী ভর্তি হয়েছেন ৮ জন, সুস্থ হয়ে ছাড়পত্র পেয়েছেন ১৪ জন এবং আইসিইউতে ভর্তি রয়েছেন ৫ জন। এ হাসপাতালে ১ জুলাই বেলা ১২টা পর্যন্ত ভর্তিকৃত করোনা রোগীর সংখ্যা ৮৫ জন। করোনা চিকিৎসার শুরু থেকে এ পর্যন্ত (১ জুলাই পর্যন্ত) হাসপাতালে ভর্তিকৃত করোনা রোগীর সংখ্যা দুই হাজার ১১৮ জন। এ হাসপাতাল থেকে করোনা চিকিৎসার পর সুস্থ হয়ে ছাড়পত্র পেয়েছেন এক হাজার ৬৩৬ জন। অন্যত্র রেফার্ড করা হয়েছে ১১০ জনকে।
শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সহকারী পরিচালক (চলতি দায়িত্ব) ডা. অনুপম ভট্টাচার্য্য জানান, করোনা চিকিৎসায় এ হাসপাতালে হাই ফ্লো নেজাল ক্যানোলা রয়েছে ১০টি। ভেন্টিলেটর রয়েছে ৯টি। আইসিইউতে সীট রয়েছে ১০টি। সার্বক্ষণিক অক্সিজেন সুবিধাও রয়েছে। গত ২৯ আগস্ট থেকে এ হাসপাতালে লিকুইড অক্সিজেন প্ল্যান্ট স্থাপন করা হয়েছে। তিনি আরও জানান, তীব্র জনবল সংকটেও হাসপাতালে বিরামহীনভাবে করোনা চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। চিকিৎসক ও চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীর শূন্যপদ পূরণ হলে চিকিৎসার মান আরও বাড়ানো যাবে বলে তিনি মনে করেন। তিনি জানান, চিকিৎসকদের (প্রশাসনিক পদসহ) ১১৬টি পদের মধ্যে কর্মরত মাত্র ৪৮ জন। এরমধ্যে গত প্রায় এক মাস ধরে পরিচালকের পদ এবং প্রায় তিন মাস ধরে উপ পরিচালকের পদও শূন্য রয়েছে। এছাড়া চতুর্থ শ্রেণির ৪১৪ টি পদের মধ্যে কর্মরত মাত্র ১৫৫ জন। শূন্যপদ পূরণের জন্য মন্ত্রণালয়ে আবেদন করা হয়েছে বলে সহকারী পরিচালক জানান।
এ হাসপাতালে শুধু কিশোরগঞ্জের রোগীরাই চিকিৎসা নিচ্ছেননা। প্রয়োজনীয় প্রায় সব ধরণের সুযোগ সুবিধার কারণে পার্শ্ববর্তী নরসিংদী, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, গাজীপুর নেত্রকোণা, সুনামগঞ্জ, ময়মনসিংহের কিছু অংশ, এমনকি ঢাকা থেকেও রোগীরা এখানে আসছেন।