অনলাইন ডেস্ক রিপোর্ট: কিশোরগঞ্জে নতুন করে (মঙ্গলবার রাত ৯টা পর্যন্ত) ১৯ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। তবে এ সময়ে কারও মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়নি। এ নিয়ে জেলায় মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়াল ১১ হাজার ৬১৬ জনে। নতুন আক্রান্তদের মধ্যে কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলায় ৭ জন, করিমগঞ্জে ১ জন, পাকুন্দিয়ায় ২ জন, ভৈরবে ৭ জন ও অষ্টগ্রামে ২ জন।
সিভিল সার্জন ডা. মুজিবুর রহমান মঙ্গলবার রাত ১১ টার দিকে এ তথ্য জানিয়েছেন। তিনি আরও জানান ২৯ ও ৩০ আগস্ট (আংশিক) কিশোরগঞ্জ শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আরটি পিসিআর ল্যাব হতে (প্রি আইসোলেশনে ভর্তিকৃত জরুরী রোগীসহ) ৬৪ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ১৪ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে।
এদিকে ৩০ আগস্ট বাজিতপুর জহুরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আরটি-পিসিআর ল্যাবে ৯৫ জনের নমুনা পরীক্ষায় ২ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এছাড়া কিশোরগঞ্জ শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ১০ জন, অষ্টগ্রাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ৮ জন ও কিশোরগঞ্জ মেডিল্যাব হেলথ সেন্টারে মোট ৮ জনসহ মোট ২৬ জনের রেপিড এন্টিজেন ও জিন এক্সপার্ট টেস্টে ৩ জনের করোনার উপসর্গ পাওয়া গেছে।
এদিকে শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নতুন রোগী ভর্তি হয়েছেন ৩ জন, সুস্থ হয়ে ছাড়পত্র পেয়েছেন ১০ জন এবং আইসিইউতে ভর্তি রয়েছেন ৩ জন। জেলায় করোনা আক্রান্ত হয়ে এ পর্যন্ত মৃত্যুবরণ করেছেন ২০৯ জন।
সিভিল সার্জন আরও জানান, গত ২৪ ঘন্টায় জেলায় করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন ১০৭ জন। এ পর্যন্ত জেলায় মোট ৯ হাজার ৫২১ জন সুস্থ হয়েছেন। বর্তমানে জেলায় সর্বেমোট আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ১ হাজার ৮৮৬ জন। এরমধ্যে কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলায় ৫৭৩ জন, হোসেনপুরে ৩৪ জন, করিমগঞ্জে ৪ জন, তাড়াইলে ৬ জন, পাকুন্দিয়ায় ২৬২ জন, কটিয়াদীতে ৪১০ জন, কুলিয়ারচরে ২০ জন, ভৈরবে ৩৬৩ জন, নিকলীতে ৩৮ জন, বাজিতপুরে ৯০ জন, ইটনায় ১২ জন, মিঠামইনে ৪ জন ও অষ্টগ্রামে ৭০ জন।
সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, বর্তমানে হোম কোয়ারেন্টাইনে / আইসোলেশনে রয়েছেন ১ হাজার ৮৫৩ জন। আর হাসপাতাল আইসোলেশনে রয়েছেন ৩৩ জন।
গত ২৪ ঘন্টায় টিকার জন্য রেজিস্ট্রেশন করেছেন ১ হাজার ৪৮ জন। গত ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে এ পর্যন্ত রেজিস্ট্রেশন করেছেন ৫ লক্ষ ১৬ হাজার ৬৯৮ জন। গত ২৪ ঘন্টায় সাইনোফার্ম ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ টিকা দেওয়া হয়েছে ১ হাজার ১৩৩ জনকে এবং দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া হয়েছে ১ হাজার ৫৩০ জনকে। একই সময়ে কোভিশিল্ড ভ্যাকসিনের দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া হয়েছে ৩১৩ জনকে। গত ১৯ জুন থেকে এ পর্যন্ত সাইনোফার্ম ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ টিকা নিয়েছেন মোট ২ লক্ষ ৭ হাজার ৪০৩ জন এবং দ্বিতীয় ডোজ টিকা নিয়েছেন ৩৬ হাজার ৬৪৩ জন। গত ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে এ পর্যন্ত কোভিশিল্ড ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ টিকা নিয়েছেন ৭৬ হাজার ৬৬৫ জন এবং মোট দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন ৬৯ হাজার ৪৪৯ জন।