অনলাইন ডেস্ক রিপোর্ট: কিশোরগঞ্জে করোনায় নতুন করে (রবিবার রাত ১০টা পর্যন্ত) ২৯০ জনের করোনা শনাক্ত এবং ৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে জেলায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়াল ৯ হাজার ৪২৭ জন এবং মোট মৃত্যুবরণ করেছেন ১৫৯ জন। নতুন আক্রান্তদের মধ্যে কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলায় ৭৪ জন, হোসেনপুরে ২০ জন, করিমগঞ্জে ৮ জন, তাড়াইলে ৩ জন, পাকুন্দিয়ায় ৩ জন, কটিয়াদীতে ৩৪ জন, কুলিয়ারচরে ১০ জন, ভৈরবে ১০২ জন, বাজিতপুরে ২৪ জন, ইটনায় ১ জন, মিঠামইনে ৫ জন ও অষ্টগ্রামে ৬ জন।
সিভিল সার্জন ডা. মুজিবুর রহমান রবিবার রাত সোয়া ১১টার দিকে এ তথ্য জানিয়েছেন। তিনি আরও জানান ২৪, ২৭, ২৮, ৩১ জুলাই ও ১ আগস্ট (আংশিক) কিশোরগঞ্জ শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আরটি পিসিআর ল্যাব হতে (প্রি আইসোলেশনে ভর্তিকৃত জরুরী রোগীসহ) ৩৭৬ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ১৩৬ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে।
এদিকে ৩১ জুলাই বাজিতপুর জহুরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আরটি-পিসিআর ল্যাবে ১২৩ জনের নমুনা পরীক্ষায় ১১ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এছাড়া শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ২১ জন, কিশোরগঞ্জ ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে ৬১ জন, কিশোরগঞ্জ বক্ষব্যাধি ক্লিনিকে ২ জন, হোসেনপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ৫০ জন, করিমগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ১১ জন, তাড়াইল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ১৯ জন, কটিয়াদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ৬ জন, কুলিয়ারচর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ১৯ জন, ভৈরব উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ১১৫ জন, বাজিতপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ২৬ জন, ইটনা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ৮ জন, মিঠামইন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ১২ জন ও অষ্টগ্রাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ১৩ জনসহ মোট ৩৬৩ জনের রেপিড এন্টিজেন টেস্টে ১৪৩ জনের করোনার উপসর্গ পাওয়া গেছে।
এদিকে শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নতুন রোগী ভর্তি হয়েছেন ৩১ জন, সুস্থ হয়ে ছাড়পত্র পেয়েছেন ৩৮ জন এবং আইসিইউতে ভর্তি রয়েছেন ১০ জন। এ হাসপাতালে করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৫ জন। কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার ৬৫ ও ৫০ বছর বয়সী দুজন পুরুষ, ৪০ বছর বয়সী একজন নারী, কটিয়াদী উপজেলার ৬৫ বছর বয়সী একজন নারী ও পাকুন্দিয়া উপজেলার ৫০ বছর বয়সী একজন নারী গত শনিবার শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন। জেলায় করোনা আক্রান্ত হয়ে এ পর্যন্ত মৃত্যুবরণ করেছেন মোট ১৫৯ জন।
সিভিল সার্জন আরও জানান, গত ২৪ ঘন্টায় জেলায় করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন ৯৩ জন। এ পর্যন্ত জেলায় মোট ৬ হাজার ৭০০ জন সুস্থ হয়েছেন। বর্তমানে জেলায় সর্বেমোট আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ২ হাজার ৫৬৮ জন। এরমধ্যে কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলায় ৮৬০ জন, হোসেনপুরে ১৯২ জন, করিমগঞ্জে ৫২ জন, তাড়াইলে ৩৮ জন, পাকুন্দিয়ায় ২৩৮ জন, কটিয়াদীতে ৩৯৭ জন, কুলিয়ারচরে ৫৭ জন, ভৈরবে ৪৪৬ জন, নিকলীতে ৪২ জন, বাজিতপুরে ১৪৮ জন, ইটনায় ২৮ জন, মিঠামইনে ২৯ জন ও অষ্টগ্রামে ৪১ জন।
সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, বর্তমানে হোম কোয়ারেন্টাইনে / আইসোলেশনে রয়েছেন ২ হাজার ৪৮৯ জন। আর হাসপাতাল আইসোলেশনে রয়েছেন ৭৯ জন।
গত ২৪ ঘন্টায় টিকার জন্য রেজিস্ট্রেশন করেছেন ৬ হাজার ৪১৬ জন। গত ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে এ পর্যন্ত রেজিস্ট্রেশন করেছেন ২ লক্ষ ৭ হাজার ৮৯৭ জন। গত ২৪ ঘন্টায় সাইনোফার্মের প্রথম ডোজ টিকা নিয়েছেন ৪ হাজার ৫৬৫ জন এবং দ্বিতীয় ডোট টিকা নিয়েছেন ৪৭ জন। গত ১৯ জুন থেকে সাইনোফার্ম ভ্যাক্সিনের প্রথম ডোজ টিকা নিয়েছেন মোট ৪৭ হাজার ৩৪২ জন এবং দ্বিতীয় ডোজ টিকা নিয়েছেন ৮৫১ জন। গত ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে এ পর্যন্ত কোভিশিল্ড ভ্যাক্সিনের প্রথম ডোজ টিকা নিয়েছেন ৭৬ হাজার ৬৬৫ জন এবং মোট দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন ৫৯ হাজার ৩০৭ জন।