নিউজ একুশে ডেস্ক: কিশোরগঞ্জে গত ২৪ ঘন্টায় (শুক্রবার রাত ৮টা পর্যন্ত) ২৫৬ জনের নমুনা পরীক্ষায় ১ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। তবে এ সময়ে কারও মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়নি। জেলায় এ পর্যন্ত মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ১১ হাজার ৯৪৮ জন।
সিভিল সার্জন ডা. মুজিবুর রহমান শুক্রবার সাড়ে ১০ টার দিকে এ তথ্য জানিয়েছেন।
সিভিল সার্জন আরও জানান, ১৩ ও ১৪ অক্টোবর (আংশিক) কিশোরগঞ্জ শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আরটি পিসিআর ল্যাব হতে (প্রি আইসোলেশনে ভর্তিকৃত জরুরী রোগীসহ) ৩৭ জনের নমুনা পরীক্ষায় ১ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে।
এদিকে ১৪ অক্টোবর বাজিতপুর জহুরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আরটি-পিসিআর ল্যাবে ১৯০ জনের নমুনা পরীক্ষায় কারও করোনা শনাক্ত হয়নি। এছাড়া হোসেনপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ৩ জন, করিমগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ৫ জন, পাকুন্দিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ৬ জন, ভৈরব উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ১১ জন ও কিশোরগঞ্জ মেডিল্যাব হেলথ সেন্টারে ৪ জনসহ মোট ২৯ জনের রেপিড এন্টিজেন ও জিন এক্সপার্ট টেস্টে কারও করোনা উপসর্গ পাওয়া যায়নি।
এদিকে শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নতুন রোগী ভর্তি হয়েছেন ২ জন, সুস্থ হয়ে ছাড়পত্র পেয়েছেন ৩ জন এবং আইসিইউতে ভর্তি রয়েছেন ২ জন। জেলায় করোনা আক্রান্ত হয়ে এ পর্যন্ত মৃত্যুবরণ করেছেন ২১৫ জন।
সিভিল সার্জন আরও জানান, গত ২৪ ঘন্টায় জেলায় করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন ২ জন। এ পর্যন্ত জেলায় মোট ১১ হাজার ৬৭২ জন সুস্থ হয়েছেন। বর্তমানে জেলায় সর্বেমোট আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ৬১ জন। এরমধ্যে কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলায় ৫০ জন, হোসেনপুরে ১ জন, তাড়াইলে ২ জন, পাকু্ন্দিয়ায় ১ জন, কটিয়াদীতে ১ জন, কুলিয়ারচরে ১ জন ও ভৈরবে ৫ জন।
সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, বর্তমানে হোম কোয়ারেন্টাইনে / আইসোলেশনে রয়েছেন ৬০ জন। আর হাসপাতাল আইসোলেশনে ১ জন রোগী রয়েছেন।
গত ২৪ ঘন্টায় টিকার জন্য রেজিস্ট্রেশন করেছেন ৩ হাজার ২০১ জন। গত ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে এ পর্যন্ত রেজিস্ট্রেশন করেছেন ৭ লক্ষ ৬২ হাজার ২৩০ জন। গত ২৪ ঘন্টায় কাউকে টিকা দেওয়া হয়নি বলে জানা গেছে। গত ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে এ পর্যন্ত কোভিশিল্ড ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ টিকা নিয়েছেন মোট ৮২ হাজার ৯৬ জন এবং দ্বিতীয় ডোজ টিকা নিয়েছেন ৭০ হাজার ৪৫৯ জন। গত ১৯ জুন থেকে এ পর্যন্ত সিনোফার্ম ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ টিকা নিয়েছেন ৫ লক্ষ ৪৪ হাজার ১৪০ জন এবং মোট দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন ২ লাখ ১১ হাজার ৫৪৪ জন।