বাজিতপুর (কিশোরগঞ্জ) সংবাদদাতা: কিশোরগঞ্জের বাজিতপুরে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুই গ্রামবাসীর সংঘর্ষে একজন নিহত ও ১৫ জন আহত হয়েছেন। নিহত শফি মিয়া (৫২) কৈলাগ গ্রামের মৃত আবদুর রহিম মিয়ার ছেলে।
শুক্রবার বেলা ১১ টার দিকে কৈলাগ ও রাহেলা গ্রামবাসীর মধ্যে সংঘর্ষটি হয়।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, কৈলাগ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি শরিয়ত আলী মিষ্টু ও ৪ নং ওয়ার্ডের সাবেক মেম্বার আলমগীর হোসেনের মধ্যে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দীর্ঘদিন যাবত বিরোধ চলে আসছে।
শরিয়ত আলী মিষ্টুর বাড়ি ইউনিয়নের রাহেলা গ্রামে আর আলমগীর হোসেনের বাড়ি কৈলাগ গ্রামে। আবার আলমগীর হোসেনের শ্বশুর বাড়ি রাহেলা গ্রামে। আলমগীর বৃহস্পতিবার তার শ্বশুর বাড়িতে বেড়াতে গেলে সে গ্রামের লালু আর শাহিন নামে দুই ব্যক্তি রাস্তায় আলমগীরকে ধরে কিল–ঘুষি মারে। পরে আলমগীর তার গ্রামে বিষয়টি জানালে রাতেই তাদের গ্রামের লোকজনও দেশীয় অস্ত্র নিয়ে বের হয়। এক পর্যায়ে দুই গ্রামের লোকদের মধ্যে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
এ ঘটনার জের ধরে শুক্রবার সকালে আবারও মুখোমুখি সংঘর্ষে জড়ায় দুই গ্রামবাসী। এতে বল্লমের আঘাতে শফি মিয়ার গুরুতর আহত হন। আশংকাজনক অবস্থায় তাকে হাসপাতালে নেওয়ার পথে মৃত্যু হয়। পূর্ব কৈলাগ গ্রামের গুরুতর আহত মস্তু মিয়া (৪৫) নামে অপর একজনকে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।
আলমগীরের সাথে কোন বিরোধ নেই দাবি করে কৈলাগ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি শরিয়ত আলী মিষ্টু জানান, স্থানীয়ভাবে যখন কোন ঝামেলার সৃষ্টি হয়, তখন তো সবাইকে নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হয় না। আত্মীয়তার টানে, গোষ্ঠীর টানে একজনের ঝামেলায় অন্যরাও জড়িয়ে পড়ে। রাতে একবার সংঘর্ষ হওয়ার পর পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে । কিন্তু শুক্রবার সকালে কৈলাগ গ্রামবাসী মসজিদের মাইকে ঘোষণা দিয়ে আবারো সংঘর্ষে জড়ালে এই ঘটনা ঘটে।
বাজিতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাজহারুল ইসলাম জানান, আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুই গ্রামবাসীর মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। এতে একজন নিহত হয়েছেন। তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।