নিজস্ব প্রতিবেদক: কিশোরগঞ্জে নির্বাচনী সহিংসতার কারণে একটি কেন্দ্রের ভোটগ্রহণ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। অপর একটি কেন্দ্রে সহিংসতা ঠেকাতে পুলিশ ফাঁকা গুলি করেছে। সহিংসতায় এক চেয়ারম্যান প্রার্থীসহ অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন।
রবিবার কিশোরগঞ্জের তিনটি উপজেলার ২৩ টি ইউনিয়নে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। এরমধ্যে কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার ১১ টি, নিকলী উপজেলার ৭ টি ও কুলিয়ারচর উপজেলার ৫ টি ইউনিয়ন।
কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার লাতিবাবাদ ইউনিয়নের কাটাবাড়িয়া এ. আর. খান উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে দুপুর দেড়টার দিকে দুই প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া হয়। এ সময় ব্যালট পেপার ছিনতাই করে নিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা। এ অবস্থায় এ কেন্দ্রের ভোটগ্রহণ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ আশ্রাফুল আলম। এছাড়া সদর উপজেলার মারিয়া ইউনিয়নের কাতিয়ারচর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে দুই মেম্বার প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ ১৫ রাউন্ড ফাঁকা গুলি করে বলে সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবু বকর সিদ্দিক জানিয়েছেন।
এছাড়া কুলিয়ারচর উপজেলার সালুয়া ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী মো. কাইয়ুম প্রতিপক্ষের হামলায় আহত হয়েছেন। ঘটনাটি ঘটেছে বিকাল সাড়ে ৩ টার দিকে ডুমরাকান্দা বাজারের কাছে। এদিকে নিকলী উপজেলার দামপাড়া ইউনিয়নের কামালপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে দুপুরে অপ্রীতিকর ঘটনার কারণে প্রায় আধাঘন্টা ভোটগ্রহণ স্থগিত থাকে। পরে পুলিশ ও র্যাব গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।