নিজস্ব প্রতিবেদক: ভোটগণনা শেষে নির্বাচনী সরঞ্জাম নিয়ে ফেরার পথে কিশোরগঞ্জে ব্যালটবাক্স ছিনিয়ে নেবার চেষ্টা করা হয়েছে। এ সময় প্রিজাইডিং অফিসার ও দুই পুলিশসহ অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন।
ঘটনাটি ঘটেছে রবিবার সন্ধ্যার পর কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার বৌলাই ইউনিয়নের পাটধা ও কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলা পরিষদ প্রাঙ্গণে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, রবিবার ভোট গণনার পর কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার বৌলাই ইউনিয়ন পরিষদের পাটধা উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রের প্রিজাইডিং অফিসার রফিকুল আমিন নির্বাচনী সরঞ্জামাদি নিয়ে ফেরার পথে দুর্বৃত্তরা তার ওপর হামলা চালিয়ে ব্যালট বাক্স ছিনিয়ে নেবার চেষ্টা করে। এ সময় তাকে রক্ষায় পুলিশ এগিয়ে গেলে দুর্বৃত্তরা পুলিশের ওপরও হামলা চালায়। হামলায় প্রিজাইডিং অফিসার ও দুজন পুলিশ সদস্য আহত হন। তাদের মধ্যে গুরুতর আহত পুলিশের কনস্টেবল মহসিনকে (৩৭) শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ঘটনার সময় নির্বাচনী দায়িত্ব পালন করে ফেরার পথে কিশোরগঞ্জ গণপূর্ত বিভাগের হিসাব রক্ষক শহীদুল ইসলাম পড়ে গিয়ে আহত হন।
এদিকে বৌলাই ইউনিয়নের নির্বাচনে পরাজিত এক চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকরা সন্ধ্যার পর নির্বাচনী নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্র কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলা পরিষদে গিয়ে বিক্ষোভ প্রদর্শন ও বিশৃঙ্খল অবস্থার সৃষ্টি করলে আইন শৃঙ্খলা বাহিনী ব্যাপক লাঠিচার্জ করে। এতে অন্তত ১৫/১৬ জন আহত হন। আহতদের কয়েকজন কিশোরগঞ্জ ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন।
এ ব্যাপারে কিশোরগঞ্জের পুলিশ সুপার মো. মাশরুকুর রহমান খালেদ বিপিএম (বার) জানান, হামলায় প্রিজাইডিং কর্মকর্তা ও দুজন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। এ ঘটনায় রাতেই মামলা দায়ের এবং দোষীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।