নিজস্ব প্রতিবেদক: বিপুল উৎসাহ উদ্দীপনা ও আনন্দঘন পরিবেশে কিশোরগঞ্জ জেলা পাবলিক লাইব্রেরির নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার লাইব্রেরির দুতলায় সকাল ১০ টা থেকে বিকাল ৪ টা পর্যন্ত ভোটগ্রহণ চলে।
৯ টি পদে নির্বাচনে ১৫ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। নির্বাচনে সাধারণ সম্পাদক পদে ১৯৩ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন প্রবীণ সাংবাদিক মু. আ লতিফ। তার একমাত্র প্রতিদ্বন্দ্বী এডভোকেট সাইফুল হক খান সাজন পেয়েছেন ১৪৭ ভোট। সহ সাধারণ সম্পাদকের দুটি পদের মধ্যে ১৯১ ভোট পেয়ে প্রথম হয়েছেন বীর মুক্তিযোদ্ধা এডভোকেট মো. নিজাম উদ্দিন ও ১৮৩ ভোট পেয়ে দ্বিতীয় হয়েছেন এডভোকেট শেখ ফারুক আহম্মদ। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মো. রুহুল আমীন পেয়েছেন ১৬৫ ভোট। কোষাধ্যক্ষ পদে ১৭৯ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন সাংবাদিক সাইফউদ্দীন আহমেদ লেনিন। তার একমাত্র প্রতিদ্বন্দ্বী মনোয়ার হোসাইন রনি পেয়েছেন ১৪৬ ভোট। দপ্তর সম্পাদক পদে ১৬৫ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন এনামুল হক কামরুল। তার একমাত্র প্রতিদ্বন্দ্বী সাংবাদিক মাজহারুল হক মান্না পেয়েছেন ১৫৫ ভোট। কার্যকরী সদস্যের ৪ টি পদে ৬ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। এরমধ্যে ২৪৪ ভোট পেয়ে প্রথম হয়েছেন সামিউল হক মোল্লা, নিজামুদ্দিন শাহীন ২৪০ ভোট পেয়ে দ্বিতীয় হয়েছেন, ১৯১ ভোট পেয়ে তৃতীয় হয়েছেন এডভোকেট আব্দুর রাশিদ ভূঁইয়া ও ১৯০ ভোট পেয়ে চতুর্থ হয়েছেন এডভোকেট লুৎফর রাশিদ রানা। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জিয়াউর রহমান পেয়েছেন ১৫৬ ভোট ও রতন কুমার দাস পেয়েছেন ১৩৪ ভোট।
সহ সভাপতির দুটি পদে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বিজয়ী হয়েছেন এডভোকেট শেখ এ. কে. এম নূরুন্নবী বাদল ও বীর মুক্তিযোদ্ধা এডভোকেট মো. আইয়ুব আলী। প্রচার প্রকাশনা ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক পদে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বিজয়ী হয়েছেন অধ্যাপক ফজলুর রহমান দুলাল। সংরক্ষিত নারী আসনের দুটি পদে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বিজয়ী হয়েছেন ফৌজিয়া জলিল নেন্সী ও লুৎফুন্নেছা।
নির্বাচনে ৪৩১ জন ভোটারের মধ্যে ৩৪৪ জন তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন। এরমধ্যে ত্রুটিযুক্ত হওয়ায় ৪ টি ভোট বাতিল করা হয়।
উল্লেখ্য, পদাধিকার বলে এ কমিটির সভাপতি হলেন জেলা প্রশাসক।