নিজস্ব প্রতিবেদক: কিশোরগঞ্জে এক নারীকে ধর্ষণচেষ্টার সময় আমিনুল আলম (৪৫) নামে ইতালি প্রবাসী এক ব্যক্তিকে মরিচ বাটার শিলের আঘাতে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঘটনার পর তাসলিমা আক্তার (২৪) নামে ঐ নারী থানায় গিয়ে আত্মসমর্পন করেন। ঘটনাটি ঘটেছে শুক্রবার রাত ১০টার দিকে কিশোরগঞ্জ শহরের নীলগঞ্জ সড়ক এলাকায়।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, স্বামী ও দুই সন্তানসহ তাসলিমা আক্তার নীলগঞ্জ সড়কস্থ সেবাশ্রম এলাকায় একটি বাসায় ভাড়া থাকেন। স্বামী নাজমুল ইসলাম হোসেনপুরে একটি বেসরকারি ব্যাংকে চাকরি করেন। নাজমুলের গ্রামের বাড়ি হোসেনপুর উপজেলার সাহেবের চরে।
শহরের নীলগঞ্জ সড়কস্থ ইতালি প্রবাসী আমিনুল আলমের বাসাতে প্রায় দুই বছর আগে ভাড়া থাকতেন নাজমুল ও তাসলিমা দম্পতি। পরে পাশের আরেক ভাড়া বাসায় উঠেন তারা। প্রায় দেড় মাস আগে ইতালি থেকে দেশে আসেন আমিনুল। শুক্রবার রাতে তিনি তাসলিমার বাসায় গিয়ে তাকে ধর্ষণের চেষ্টা করেন বলে তাসলিমা পুলিশকে জানিয়েছেন। এ সময় আত্মরক্ষার্থে তাসলিমা মরিচ বাটার শিল দিয়ে আমিনুলের মাথায় আঘাত করলে আমিনুল মেঝেতে লুটিয়ে পড়েন। এ সুযোগে তাসলিমা বাসা থেকে বের হয়ে থানায় গিয়ে পুলিশকে ঘটনা জানান। পরে পুলিশ গিয়ে রক্তাক্ত অবস্থায় আমিনুলকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়। অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় রাতেই তাকে ময়মনসিংহে পাঠানো হয়। সেখান থেকে ঢাকায় নেবার পথে ভোর ৫টার দিকে তার মৃত্যু হয়। ঘটনার সময় তাসলিমার স্বামী বাসায় ছিলেননা। সাত বছর বয়সী বড় ছেলে পাশের কক্ষে এবং চার বছর বয়সী ছোট ছেলে তাসলিমার সাথেই ছিল।
নিহত আমিনুল আলম শহরের নীলগঞ্জ সড়কস্থ মৃত আব্দুস সামাদের ছেলে। তিনি বিবাহিত।
কিশোরগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু বকর সিদ্দিক জানান, ধর্ষণচেষ্টার সময় শিল দিয়ে আমিনুলকে আঘাতের কথা পুলিশকে বলেছেন তাসলিমা। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত থানায় মামলা হয়নি।