নিজস্ব প্রতিবেদক: সংঘর্ষ, ব্যালট পেপার ছিনতাইসহ নানা অঘটনের মধ্য দিয়ে রবিবার কিশোরগঞ্জের তিন উপজেলার ২২টি ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। এসব ঘটনায় পুলিশ-র্যাবসহ অন্তত ২৫ জন আহত হয়েছেন।
সকাল সাড়ে ৯টার দিকে কটিয়াদী উপজেলার জালালপুর ইউনিয়নের চর পুক্ষিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে দুই প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ ও ব্যালট পেপার ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটে। এ সময় পুলিশ ও র্যাব পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে কাঁদানে গ্যাস ও ফাকা রাবার বুলেট ছুড়ে। সংঘর্ষের সময় র্যাবের এক সদস্যসহ অন্তত ১৫ জন আহত হন। ফলে এ কেন্দ্রের ভোটগ্রহণ স্থগিত করা হয়। এ উপজেলার চান্দপুর ইউনিয়নের ভাদ্রাসন কেন্দ্রেও সংঘর্ষ হয়। ফলে বেশ কিছুক্ষণ এ কেন্দ্রের ভোটগ্রহণ বন্ধ রাখা হয়।বেলা ১১টার পর হোসেনপুর উপজেলার জিনারী ইউনিয়নের বীর হাজীপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ব্যালট পেপার ছিনতাই করার সময় পুলিশের সাথে একটি গ্রুপের সংঘর্ষ হয়। এ সময় দুই পুলিশসহ অন্তত ১০ জন আহত হয়। পরে একই ইউনিয়নের হুগলাকান্দি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রেও সংঘর্ষ হয়। ফলে এ দুটি কেন্দ্রের ভোটগ্রহণ প্রায় দেড় ঘন্টা বন্ধ থাকে। পুমদী ইউনিয়নের নারায়ণডহর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে বেলা আড়াইটার দিকে দুই এজেন্টের মধ্যে হাতাহাতি হয়। এক পর্যায়ে তা কেন্দ্রের বাইরেও ছড়ায়। কেন্দ্রের বাইরে দুইদল তরুণকে লাঠি হাতে পরস্পরকে ধাওয়া দিতে দেখা গেছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে প্রায় আধাঘন্টা এ কেন্দ্রের ভোটগ্রহণ বন্ধ রাখা হয়। পরে বিজিবি ও র্যাব গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
বিভিন্ন কেন্দ্রে জালভোট দেওয়ার বিস্তর অভিযোগ রয়েছে। হোসেনপুর উপজেলার পুমদী ইউনিয়নের রামপুর হোসাইনিয়া বালিকা দাখিল মাদ্রাসা কেন্দ্রে জাল ভোট দেওয়ার অভিযোগে ৬ কিশোরকে আটক করা হয়। ভৈরব উপজেলার বেশ কটি কেন্দ্রেও জাল ভোট দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে।
পুলিশ সুপার মো. মাশরুকুর রহমান খালেদ বিভিন্ন ভোটকেন্দ্র পরিদর্শন করেন। তিনি জানান, বিচ্ছিন্ন কিছু ঘটনা ছাড়া উৎসবমখর পরিবেশে মানুষ ভোট দিয়েছেন।
জেলা নির্বাচন অফিসার মোহাম্মদ আশ্রাফুল আলম জানান, কটিয়াদী উপজেলার জালালপুর ইউনিয়নের চরপুক্ষিয়া কেন্দ্র ছাড়া সাময়িক স্থগিত কেন্দ্রগুলো অল্প সময়ের মধ্যেই পুনরায় চালু করা হয়।