নিজস্ব প্রতিবেদক: বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেছেন, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার প্রতি মানুষের ভালোবাসা এ সরকার সহ্য করতে পারছেনা। এ কারণেই সুচিকিৎসার জন্য মুক্তি দিয়ে তাকে বিদেশে পাঠাতে দিচ্ছেনা। তার জনপ্রিয়তাকে ভয় পায় বলেই এ সরকার তাকে হত্যা করতে চায়। আর শুধুমাত্র হত্যা করার উদ্দেশেই তাকে কারাগারে আটক রাখা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার বিকালে কিশোরগঞ্জ শহরের আজিম উদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে জেলা বিএনপি আয়োজিত এক সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, এ সরকার দিন গুণছে, কবে বেগম খালেদা জিয়ার মৃত্যু হবে। তার মৃত্যু হলেই সরকারের ক্ষমতা আরও পাকাপোক্ত হবে। কিন্তু জনগণ ভুল করবেনা। আন্দোলনের মাধ্যমে জনগণ এ সরকারের পতন ঘটিয়ে বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করবেই। তিনি বলেন, জনগণ ফুসে উঠেছে। এবার কোন ছাড় নয়। সরকারের পতন হবেই ইনশাল্লাহ।
তিনি বলেন, মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামীকে মুক্তি দিয়ে সরকার গোপনে দেশের বাইরে পাঠিয়ে দেয়, অথচ মানুষের আবেগ ভালোবাসার নেত্রী খালেদা জিয়াকে মুক্তি দিচ্ছেনা। এর পরিণতি ভালো হবেনা।
তিনি আরও বলেন, ২০০৯ সাল থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত ৪ লক্ষ ৪৬ হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচার করেছে। এই চাটার দলকে ক্ষমতা থেকে সরাতে না পারলে দেশ, জনগণ ও স্বাধীনতা নিরাপদ নয়।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বিএনপি ঢাকা দক্ষিণের সভাপতি আব্দুস সালাম বলেন, খালেদা জিয়াকে সরকার ভয় পায় বলেই তাকে মুক্তি দিতে চায়না। জিয়াউর রহমানের কবরকেও ভয় পায়, সে জন্যই তার কবর নিয়ে কথা বলে। তারেক জিয়াকে ভয় পায় বলেই তাকে দেশে এনে হত্যা করতে চায়।
তিনি বলেন, আন্দোলনের মাধ্যমেই খালেদা জিয়াকে মুক্ত করা হবে। জনতার উদ্দেশে তিনি বলেন, আপনারা আন্দোলনের প্রস্তুতি নিন। আওয়ামী লীগ পালিয়ে যাবার পথ পাবেনা। এ সরকারের পতন না হওয়া পর্যন্ত আল্লাহ যেন খালেদা জিয়াকে হায়াত দেন, সেই প্রার্থনা করেন তিনি।
সভাপতির বক্তব্যে জেলা বিএনপির সভাপতি শরীফুল আলম বলেন, আর মিটিং নয়, টেবিল টক নয়, আন্দোলনের ডাক দিন। মানুষ আন্দোলনের জন্য অপেক্ষা করছে।
সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা এডভোকেট ফজলুর রহমান, কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক এমরান সালেহ প্রিন্স, কেন্দ্রীয় সহ সাংগঠনিক সম্পাদক এডভোকেট শাহ ওয়ারেছ আলী মামুন, সাবেক সংসদ সদস্য মেজর (অব.) আখতারুজ্জামান রঞ্জন, জেলা বিএনপির সহ সভাপতি রেজাউল করিম খান চুন্নু, সাধারণ সম্পাদক মাজহারুল ইসলাম, যুবদল কেন্দ্রিয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু প্রমুখ।
সমাবেশ সঞ্চালনা করেন জেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক খালেদ সাইফুল্লাহ সোহেল, সাংগঠনিক সম্পাদক ইসরাইল মিয়া, আমিনুল ইসলাম আশফাক ও নাজমুল আলম।