অনলাইন ডেস্ক রিপোর্ট: কিশোরগঞ্জে গত ২৪ ঘন্টায় (মঙ্গলবার রাত ১০ টা পর্যন্ত) ১১৫ জনের করোনা শনাক্ত এবং মৃত্যু হয়েছে ৪ জনের । এ নিয়ে মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়াল ৬ হাজার ৫৮৫ জন। নতুন আক্রান্তদের মধ্যে কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলায় ৬২ জন, করিমগঞ্জে ২ জন, তাড়াইলে ৯ জন, পাকুন্দিয়ায় ১৩ জন, কটিয়াদীতে ৬ জন, কুলিয়ারচরে ৩ জন, ভৈরবে ১৫ জন, বাজিতপুরে ২ জন ও ইটনায় ৩ জন।
সিভিল সার্জন ডা. মুজিবুর রহমান মঙ্গলবার রাত ১১ টার দিকে এ তথ্য জানিয়েছেন।
গত ৩, ৪ ও ৫ জুলাই (আংশিক) কিশোরগঞ্জ শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আরটি পিসিআর ল্যাব হতে ১৮৮ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ৯৭ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। ৫ জুলাই বাজিতপুর জহুরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আরটি-পিসিআর ল্যাবে ৬০ জনের নমুনা পরীক্ষায় ৬ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এছাড়া তাড়াইল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ২৫ জন, পাকুন্দিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ৫ ও ভৈরব উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ২৪ জনসহ মোট ৫৪ জনের রেপিড এন্টিজেন টেস্টে ১২ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে।
এদিকে শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নতুন রোগী ভর্তি হয়েছেন ৭ জন, সুস্থ হয়ে ছাড়পত্র পেয়েছেন ১৯ জন, করোনায় ৪ জনের মৃত্যু এবং আইসিইউতে ভর্তি রয়েছেন ৭ জন। করোনা শনাক্তকৃত সদর উপজেলার ৮৫ বছর বয়সী একজন পুরুষ শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সোমবার সকাল ৯ টায় মৃত্যুবরণ করেন। একই উপজেলার ৭০ বছর বয়সী একজন পুরুষ শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সোমবার রাত ২ টায় মৃত্যুবরণ করেন। এছাড়া তাড়াইল উপজেলার ৬৫ বছর বয়সী একজন পুরুষ শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আজ মঙ্গলবার বিকাল ৪ টায় মৃত্যুবরণ করেন। একই উপজেলার ২৮ বছর বয়সী একজন নারী শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সোমবার বেলা ১ টায় মৃত্যুবরণ করেন। এ নিয়ে জেলায় করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেছেন মোট ৯৮ জন।
সিভিল সার্জন আরও জানান, গত ২৪ ঘন্টায় জেলায় করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন ৪৫ জন। এ পর্যন্ত জেলায় মোট ৫ হাজার ৩৩৮ জন সুস্থ হয়েছেন। বর্তমানে জেলায় সর্বেমোট আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ১ হাজার ১৪৯ জন। এরমধ্যে কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলায় ৭৩১ জন, হোসেনপুরে ১৯ জন, করিমগঞ্জে ৩৭ জন, তাড়াইলে ৩১ জন, পাকুন্দিয়ায় ৫২ জন, কটিয়াদীতে ৭৪ জন, কুলিয়ারচরে ২৭ জন, ভৈরবে ১২৪ জন, নিকলীতে ৮ জন, বাজিতপুরে ২২ জন, ইটনায় ২২ জন ও মিঠামইনে ২ জন।
সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, বর্তমানে হোম কোয়ারেন্টাইনে / আইসোলেশনে রয়েছেন ১ হাজার ৭২ জন। আর হাসপাতাল আইসোলেশনে রয়েছেন ৭৭ জন।
গত ২৪ ঘন্টায় ভ্যাকসিনের জন্য কেউ রেজিস্ট্রেশন করেননি বলে সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে। ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে এ পর্যন্ত রেজিস্ট্রেশন করেছেন ১ লক্ষ ২৭ হাজার ৪৮১ জন। গত ২৪ ঘন্টায় সাইনোফার্ম ভ্যাক্সিনের প্রথম ডোজ টিকা নিয়েছেন ৭২ জন। গত ১৯ জুন থেকে সাইনোফার্ম ভ্যাক্সিনের প্রথম ডোজ টিকা নিয়েছেন মোট ১ হাজার ৪৭৫ জন। গত ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে এ পর্যন্ত কোভিশিল্ড ভ্যাক্সিনের প্রথম ডোজ টিকা নিয়েছেন ৭৬ হাজার ৬৬৫ জন এবং মোট দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন ৫৯ হাজার ৩০৭ জন।