নিজস্ব প্রতিবেদক: কিশোরগঞ্জের ১৫টি ইউনিয়ন পরিষদে বুধবার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এরমধ্যে অষ্টগ্রাম উপজেলার ৮টি ও মিঠামইন উপজেলার ৭টি ইউনিয়ন। হাওরের এ ১৫ টি ইউনিয়নে এবার আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীক ছিলনা। মিঠামইনের ঘাগড়া ইউনিয়নের একটি কেন্দ্রের ফলাফল স্থগিত করা হয়েছে। এ অবস্থায় ১৪ টি ইউনিয়নের ফলাফল ঘোষণা করেছেন কর্তৃপক্ষ।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে বেসরকারিভাবে অষ্টগ্রাম উপজেলার অষ্টগ্রাম সদর ইউনয়নে সৈয়দ ফাইয়াজ হাসান বাবু (মোটর সাইকেল) ৩৮৭১ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মো. ছায়েদুর রহমান (চশমা) পেয়েছেন ৩৬১২ ভোট। পূর্ব অষ্টগ্রাম ইউনিয়নে ৪৫৩৫ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন মো. কাছেদ মিয়া (ঘোড়া)। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছৈয়দ সাঈদ আহমেদ (চশমা) পেয়েছেন ৩৯২৫ ভোট। কাস্তুল ইউনিয়নে সাইফুল হক রন্টি (চশমা) ৪৩১৭ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মো. ইকবাল হোসেন (ঢোল) পেয়েছেন ৩৪৮৫ ভোট। দেওঘর ইউনিয়নে মো. আক্তার হোসেন (টেলিফোন) ২৫০৪ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মো. সুজন খান (ঢোল) পেয়েছেন ২২৯৩ ভোট। বাংগালপাড়া ইউনিয়নে ৫২২৪ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন মুহাম্মদ মনিরুজ্জামান (ঘোড়া)। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মাহমুদুল হক অলি (চশমা) পেয়েছেন ৪৩২৪ ভোট। খয়েরপুর আব্দুল্লাহপুর ইউনিয়নে মো. আনোয়ার হোসেন খান (চশমা) ৬৩৭০ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মহিদুল হোসেন চৌধুরী (মোটর সাইকেল) পেয়েছেন ৪৮০৩ ভোট। আদমপুর ইউনিয়নে আ. মন্নাফ (আনারস) ৬৬৫৬ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মো. ফজলুল করিম বাদল (ঘোড়া) পেয়েছেন ৫৪১৫ ভোট। কলমা ইউনিয়নে ৩১৫৪ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন রাধাকৃষ্ণ দাস (ঘোড়া)। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী সাধন চন্দ্র দাস (আনারস) পেয়েছেন ২৯১৮ ভোট।
মিঠামইন উপজেলার মিঠামইন সদর ইউনিয়নে এডভোকেট শরীফ কামাল বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। গোপদিঘী ইউনিয়নে আনোয়ার হোসেন (মোটর সাইকেল) ৩৭৩২ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী নূরুল হক বাচ্চু (ঢোল) পেয়েছেন ৩৪৪৬ ভোট। কাটখাল ইউনিয়নে তাজুল ইসলাম (ঘোড়া) ৪৬১০ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী রইছ উদ্দিন আহমেদ (আনারস) পেয়েছেন ৪১০৯ ভোট। বৈরাটি ইউনিয়নে ৩৯৮৪ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন তাজুল ইসলাম (আনারস)। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী রফিকুল ইসলাম (ঘোড়া) পেয়েছেন ২৩৫৮ ভোট। ঢাকী ইউনিয়নে মো. লুতফর রহমান ভূঞা (মোটর সাইকেল) ৫৬৮৬ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মো. মজিবুর রহমান (চশমা) পেয়েছেন ৩৯৬৮ ভোট। কেওয়ারজোড় ইউনিয়নে ১৬২২ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন আবুল কাশেম (আনারস)। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মো. শহিদুর রহমান (দুটি পাতা) পেয়েছেন ১৫০৬ ভোট।
ঘাগড়া ইউনিয়নের ২৮ নম্বর হোসেনপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে সুষ্ঠুভাবে ভোটগ্রহণ সম্পন্ন হয়। কিন্তু ভোট গণনা শেষে ফলাফল প্রদানের সময় একদল দুর্বৃত্ত বিদ্যালয়টি তালাবদ্ধ করে প্রিসাইডিং অফিসার, সহকারী প্রিসাইডিং অফিসার ও পোলিং অফিসারদেরকে আটকে রাখে। খবর পেয়ে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে গেলে তাদের সহযোগিতায় কর্মকর্তারা নির্বাচনী মালামালসহ নিরাপদে রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে চলে যান। এ অবস্থায় প্রিসাইডিং অফিসার এ কেন্দ্রের ফলাফল স্থগিত ঘোষণা করেন।
আগের ঘোষিত ফলাফল অনুযায়ী মোটর সাইকেল প্রতীকে বোরহান উদ্দিন চৌধুরী বুলবুল ৩০৬০ ভোট পেয়ে এগিয়ে রয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ঢোল প্রতীকে মো. মোখলেছুর রহমান ভূঞা পেয়েছেন ২৭১৬ ভোট।