নিউজ একুশে ডেস্ক: কিশোরগঞ্জে নতুন করে ৪ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। গত ২৪ ঘন্টায় (সোমবার রাত সাড়ে ৮টা পর্যন্ত) ৩৩২ জনের নমুনা পরীক্ষায় ৪ জনের করোনার উপসর্গ পাওয়া যায়। এরমধ্যে কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলায় ২ জন, কটিয়াদীতে ১ জন ও বাজিতপুরে ১ জন। তবে এ সময়ে কারও মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়নি। জেলায় এ পর্যন্ত মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ১২ হাজার ৭৯ জন।
সিভিল সার্জন ডা. সাইফুল ইসলাম সোমবার রাতে এ তথ্য জানিয়েছেন।
সিভিল সার্জন আরও জানান, ১৬ ও ১৭ জানুয়ারি (আংশিক) কিশোরগঞ্জ শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আরটি পিসিআর ল্যাব হতে (প্রি আইসোলেশনে ভর্তিকৃত জরুরী রোগীসহ) ৩৪ জনের নমুনা পরীক্ষায় ৩ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে।
এদিকে ১৬ জানুয়ারি বাজিতপুর জহুরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আরটি-পিসিআর ল্যাবে ২৮০ জনের নমুনা পরীক্ষায় ১ জনের এবং অন্য জেলার ৪ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এছাড়া কিশোরগঞ্জ বক্ষব্যাধি ক্লিনিকে ৮ জন, করিমগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ৫ জন, পাকুন্দিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ৪ জন ও কিশোরগঞ্জ মেডিল্যাব হেলথ সেন্টারে ১ জনসহ মোট ১৮ জনের রেপিড এন্টিজেন ও জিন এক্সপার্ট টেস্টে কারও করোনা উপসর্গ পাওয়া যায়নি।
এদিকে শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নতুন রোগী ভর্তি হয়েছেন ২ জন, সুস্থ হয়ে ছাড়পত্র পেয়েছেন ২ জন এবং আইসিইউতে ভর্তি রয়েছেন ১ জন। জেলায় করোনা আক্রান্ত হয়ে এ পর্যন্ত মৃত্যুবরণ করেছেন ২১৫ জন।
সিভিল সার্জন আরও জানান, এ পর্যন্ত জেলায় মোট ১১ হাজার ৭৯১ জন সুস্থ হয়েছেন। বর্তমানে জেলায় সর্বেমোট আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ৭৩ জন। এরমধ্যে কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলায় ৩৭ জন, হোসেনপুরে ৪ জন, করিমগঞ্জে ১ জন, পাকু্ন্দিয়ায় ২ জন, কটিয়াদীতে ২ জন, কুলিয়ারচরে ৭ জন, ভৈরবে ১০ জন, নিকলীতে ১ জন, বাজিতপুরে ৭ জন ও অষ্টগ্রামে ২ জন।
সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, বর্তমানে হোম কোয়ারেন্টাইনে / আইসোলেশনে রয়েছেন ৬৯ জন। আর হাসপাতাল আইসোলেশনে ৪ জন রোগী রয়েছেন।
গত ২৪ ঘন্টায় কোভিশিল্ড ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ টিকা নিয়েছেন ১৫ হাজার ৭৫৬ জন, দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন ৫৫ জন এবং বুস্টার ডোজ নিয়েছেন ৭৯০ জন। গত ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে এ পর্যন্ত কোভিশিল্ড ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ টিকা নিয়েছেন মোট ২ লক্ষ ৬৪ হাজার ৭৭ জন, দ্বিতীয় ডোজ টিকা নিয়েছেন ৭৭ হাজার ১৬৪ জন এবং বুস্টার ডোজ নিয়েছেন ৬ হাজার ৮৬ জন। গত ২৪ ঘন্টায় সিনোফার্ম ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ টিকা নিয়েছেন ৭ জন ও দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন ১ হাজার ৮৭৮ জন। গত ১৯ জুন থেকে এ পর্যন্ত সিনোফার্ম ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ টিকা নিয়েছেন ১০ লক্ষ ৬৮ হাজার ৩৯৩ জন এবং মোট দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন ৯ লাখ ৫৩ হাজার ২৬৬ জন। গত ২৪ ঘন্টায় ফাইজার ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ টিকা নিয়েছেন ৪ হাজার ৮১ জন, দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন ৩৮৩ জন।
গত ২৪ ঘন্টায় রেজিস্ট্রেশন করেছেন ৮ হাজার ৯৫৯ জন। এ পর্যন্ত মোট রেজিস্ট্রেশন করেছেন ১৪ লক্ষ ২৩ হাজার ৯১০ জন।