নিউজ একুশে ডেস্ক: কিশোরগঞ্জে ২৮৩ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ২৫ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এরমধ্যে কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলায় ৮ জন, পাকুন্দিয়ায় ২ জন, কটিয়াদীতে ১ জন, কুলিয়ারচরে ১ জন, ভৈরবে ৭ জন, বাজিতপুরে ২ জন ও মিঠামইনে ৪ জন। এ নিয়ে জেলায় মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ১২ হাজার ২২৭ জন। তবে এ সময়ে কারও মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়নি।
সিভিল সার্জন ডা. সাইফুল ইসলাম শনিবার রাতে এ তথ্য জানিয়েছেন।
সিভিল সার্জন আরও জানান, ২১ ও ২২ জানুয়ারি (আংশিক) কিশোরগঞ্জ শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আরটি পিসিআর ল্যাব হতে (প্রি আইসোলেশনে ভর্তিকৃত জরুরী রোগীসহ) ১৩ জনের নমুনা পরীক্ষায় ৬ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে।
এদিকে ২১ জানুয়ারি বাজিতপুর জহুরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আরটি-পিসিআর ল্যাবে ২৩৯ জনের নমুনা পরীক্ষায় অন্য জেলার ৮ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। ১৭ জন করোনা পজিটিভ অন্য জেলার। এছাড়া পাকুন্দিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ১২ জন, মিঠামইন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ৪ ও কিশোরগঞ্জ মেডিল্যাব হেলথ সেন্টারে ১৫ জনসহ মোট ৩১ জনের রেপিড এন্টিজেন ও জিন এক্সপার্ট টেস্টে ১১ জনের করোনা উপসর্গ পাওয়া গেছে।
এদিকে শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নতুন রোগী ভর্তি হয়েছেন ৩ জন এবং আইসিইউতে ভর্তি রয়েছেন ৪ জন। জেলায় করোনা আক্রান্ত হয়ে এ পর্যন্ত মৃত্যুবরণ করেছেন ২১৫ জন।
সিভিল সার্জন আরও জানান, এ পর্যন্ত জেলায় মোট ১১ হাজার ৮০৮ জন সুস্থ হয়েছেন। বর্তমানে জেলায় সর্বেমোট আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ২০৪ জন। এরমধ্যে কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলায় ৯৪ জন, হোসেনপুরে ৫ জন, করিমগঞ্জে ৯ জন, তাড়াইলে ৩ জন, পাকু্ন্দিয়ায় ৬ জন, কটিয়াদীতে ৭ জন, কুলিয়ারচরে ১৫ জন, ভৈরবে ৩১ জন, বাজিতপুরে ২৭ জন, মিঠামইনে ৪ জন ও অষ্টগ্রামে ৩ জন।
সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, বর্তমানে হোম কোয়ারেন্টাইনে / আইসোলেশনে রয়েছেন ২০০ জন। আর হাসপাতাল আইসোলেশনে ৪ জন রোগী রয়েছেন।
গত ২৪ ঘন্টায় কোভিশিল্ড ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ টিকা নিয়েছেন ১২ হাজার ৮০০ জন, দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন ৪২ জন এবং বুস্টার ডোজ নিয়েছেন ১ হাজার ২২১ জন। গত ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে এ পর্যন্ত কোভিশিল্ড ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ টিকা নিয়েছেন মোট ৩ লক্ষ ১৫ হাজার ৪০৪ জন, দ্বিতীয় ডোজ টিকা নিয়েছেন ৭৭ হাজার ৩৭০ জন এবং বুস্টার ডোজ নিয়েছেন ১০ হাজার ৬০৮ জন। গত ২৪ ঘন্টায় সিনোফার্ম ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ টিকা নিয়েছেন ২ জন ও দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন ৮০৯ জন। গত ১৯ জুন থেকে এ পর্যন্ত সিনোফার্ম ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ টিকা নিয়েছেন ১০ লক্ষ ৬৮ হাজার ৫০৪ জন এবং মোট দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন ৯ লাখ ৫৮ হাজার ২০ জন। গত ২৪ ঘন্টায় ফাইজার ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ টিকা নিয়েছেন ২৮ হাজার ৭৯৭ জন, দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন ৬২৮ জন। গত ২৩ অক্টোবর থেকে এ পর্যন্ত ফাইজার ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ টিকা নিয়েছেন মোট ২ লক্ষ ৬৫ হাজার ৮৫৯ জন, দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন ৩৫ হাজার ৪১৫ জন এবং বুস্টার ডোজ নিয়েছেন ২ হাজার ৩৬১ জন।
গত ২৪ ঘন্টায় টিকার জন্য রেজিস্ট্রেশন করেছেন ৬ হাজার ৬৭৮ জন। এ পর্যন্ত মোট রেজিস্ট্রেশন করেছেন ১৪ লক্ষ ৪৮ হাজার ৪৩৬ জন।