নিউজ একুশে ডেস্ক: কিশোরগঞ্জে নতুন করে ৮০ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। গত ২৪ ঘন্টায় (বুধবার রাত ৯টা পর্যন্ত) ৪৪০ জনের নমুনা পরীক্ষা করে এ ফলাফল পাওয়া গেছে। এরমধ্যে কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলায় ২৮ জন, করিমগঞ্জে ৪ জন, তাড়াইলে ২ জন, পাকুন্দিয়ায় ৭ জন, কটিয়াদীতে ৭ জন, কুলিয়ারচরে ৪ জন, ভৈরবে ২৩ জন, বাজিতপুরে ১ জন, ইটনায় ৩ জন ও অষ্টগ্রামে ১ জন। এ নিয়ে জেলায় মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ১৩ হাজার ২১৮ জন। তবে এ সময়ে কারও মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়নি।
সিভিল সার্জন ডা. সাইফুল ইসলাম বুধবার রাতে এ তথ্য জানিয়েছেন।
সিভিল সার্জন আরও জানান, ৩১ জানুয়ারি ও ১ ফেব্রুয়ারি (আংশিক) কিশোরগঞ্জ শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আরটি পিসিআর ল্যাব হতে (প্রি আইসোলেশনে ভর্তিকৃত জরুরী রোগীসহ) ৯৪ জনের নমুনা পরীক্ষায় ৩৩ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে।
এদিকে ১ ফ্রেব্রুয়ারি বাজিতপুর জহুরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আরটি-পিসিআর ল্যাবে ২২০ জনের নমুনা পরীক্ষায় ২৫ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। আর অন্য জেলার করোনা পজিটিভ পাওয়া গেছে ৩৩ জনের। এছাড়া কিশোরগঞ্জ বক্ষব্যাধি ক্লিনিকে ৭ জন, করিমগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ৪ জন, কটিয়াদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ৬ জন, ভৈরব উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ২১ জন, ইটনা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ৩০ জন ও অষ্টগ্রাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ২৫ জনসহ মোট ৯৩ জনের রেপিড এন্টিজেন ও জিন এক্সপার্ট টেস্টে ২২ জনের করোনা উপসর্গ পাওয়া গেছে।
এদিকে শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নতুন রোগী ভর্তি হয়েছেন ৭ জন, সুস্থ হয়ে ছাড়পত্র পেয়েছেন ১ জন এবং আইসিইউতে ভর্তি রয়েছেন ৫ জন। জেলায় করোনা আক্রান্ত হয়ে এ পর্যন্ত মৃত্যুবরণ করেছেন ২১৫ জন।
সিভিল সার্জন আরও জানান, জেলায় গত ২৪ ঘন্টায় করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন ৪৮ জন। এ পর্যন্ত জেলায় মোট ১১ হাজার ৯৮৭ জন সুস্থ হয়েছেন। বর্তমানে জেলায় সর্বেমোট আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ১ হাজার ১৬ জন। এরমধ্যে কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলায় ৪৪১ জন, হোসেনপুরে ৩৭ জন, করিমগঞ্জে ২৮ জন, তাড়াইলে ১৬ জন, পাকু্ন্দিয়ায় ৩৭ জন, কটিয়াদীতে ৮৯ জন, কুলিয়ারচরে ৪২ জন, ভৈরবে ২৩২ জন, নিকলীতে ৯ জন, বাজিতপুরে ৫৩ জন, ইটনায় ১৭ জন, মিঠামইনে ১০ জন ও অষ্টগ্রামে ৫ জন।
সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, বর্তমানে হোম কোয়ারেন্টাইনে / আইসোলেশনে রয়েছেন ১ হাজার ৩ জন। আর হাসপাতাল আইসোলেশনে ১৩ জন রোগী রয়েছেন।
গত ২৪ ঘন্টায় কোভিশিল্ড ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ টিকা নিয়েছেন ৪ হাজার ৭১৮ জন, দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন ৭২ জন এবং বুস্টার ডোজ নিয়েছেন ১ হাজার ৭৩৩ জন। গত ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে এ পর্যন্ত কোভিশিল্ড ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ টিকা নিয়েছেন মোট ৩ লক্ষ ৯৭ হাজার ৮০৪ জন, দ্বিতীয় ডোজ টিকা নিয়েছেন ৭৭ হাজার ৭৩৯ জন এবং বুস্টার ডোজ নিয়েছেন ২০ হাজার ৮৮০ জন। গত ২৪ সিনোফার্ম ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ টিকা নিয়েছেন ৯০ জন, দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন ৪৬০ জন । গত ১৯ জুন থেকে এ পর্যন্ত সিনোফার্ম ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ টিকা নিয়েছেন ১০ লক্ষ ৬৮ হাজার ৬১৩ জন এবং মোট দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন ৯ লাখ ৭৬ হাজার ৮০৬ জন। গত ২৪ ঘন্টায় ফাইজার ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ টিকা নিয়েছেন ১ হাজার ২৩২ জন এবং দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন ১ হাজার ৭২০ জন। গত ২৩ অক্টোবর থেকে এ পর্যন্ত ফাইজার ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ টিকা নিয়েছেন মোট ২ লক্ষ ৯২ হাজার ৭০৭ জন, দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন ৪৭ হাজার ৪২০ জন এবং বুস্টার ডোজ নিয়েছেন ২ হাজার ৩৬১ জন।
গত ২৪ ঘন্টায় টিকার জন্য রেজিস্ট্রেশন করেছেন ১ হাজার ৯৭৪ জন। এ পর্যন্ত মোট রেজিস্ট্রেশন করেছেন ১৪ লক্ষ ৯৬ হাজার ২৬০ জন।