পাকুন্দিয়া (কিশোরগঞ্জ) সংবাদদাতা: কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়ায় চাচা-চাচিসহ একই পরিবারের চারজনকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে জখম করার অভিযোগ পাওয়া গেছে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় শুক্রবার রাতে পাকুন্দিয়া থানায় মামলা হয়েছে।
মামলার এজাহার ও অন্যান্য সূত্রে জানা গেছে, চরফরাদী ইউনিয়নের চরতেরটেকিয়া গ্রামের মৃত আবদুল হাইয়ের ছেলে ইউপি চেয়ারম্যান মো. কামাল উদ্দীনের পরিবারের সঙ্গে তার চাচা আবুল হোসেনের দীর্ঘদিন ধরে জমি-জমা ও বাড়ির সীমানা নিয়ে বিরোধ চলে আসছে। এর জের ধরে গত মঙ্গলবার বিকালে কামাল উদ্দীনের নেতৃত্বে ১৫-১৬ জনের একটি দল দা, লোহার রড ও লাঠিসোটা নিয়ে আবুল হোসেনের বাড়িতে হামলা চালায়। তারা প্রথমে আবুল হোসেনকে উদ্দেশ্য করে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকেন। আবুল হোসেনের স্ত্রী ফজিলাতুন্নেছা এর প্রতিবাদ করলে কামাল উদ্দীন ক্ষিপ্ত হয়ে চাচি ফজিলাতুন্নেছাকে দা দিয়ে কুপিয়ে জখম করেন। তাকে রক্ষা করতে স্বামী আবুল হোসেন, ছেলে আরিফুল ইসলাম রাজন ও মেয়ে শামীমা নাসরিন এগিয়ে গেলে কামাল উদ্দীনের সঙ্গে থাকা অন্যরা লাঠি দিয়ে এলোপাতাড়িভাবে তাদেরকে পিটিয়ে জখম করে। হামলাকারীরা আবুল হোসেনের বসত ঘরের দরজা জানালাসহ আসবাবপত্র ভাঙচুর এবং লুটপাট করে বলেও মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়। পরে আহতদেরকে পাকুন্দিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে ভর্তি করা হয়।
এ ব্যাপারে শনিবার আবুল হোসেন বাদী হয়ে ইউপি চেয়ারম্যান কামাল উদ্দীনকে প্রধান আসামী করে পাকুন্দিয়া থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
অভিযুক্ত চেয়ারম্যান কামাল উদ্দিন মুঠোফোনে জানান, আমার চাচাত ভাই রাসেলদের সঙ্গে জমিজমা নিয়ে চাচা আবুল হোসেনের বিরোধ চলছে। এ নিয়ে উভয়পক্ষের মধ্যে কিছু মারামারির ঘটনা ঘটেছে। এতে আমার কোন সম্পৃক্ততা নেই। তবুও মামলায় আমাকে প্রধান আসামী করা হয়েছে।
পাকুন্দিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সারোয়ার জাহান মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, পারিবারিক ঘটনায় চেয়ারম্যান কামাল উদ্দীনের বিরুদ্ধে শুক্রবার রাতে মামলাটি করেছেন তার চাচা আবুল হোসেন। তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।