অনলাইন ডেস্ক রিপোর্ট: কিশোরগঞ্জে করোনায় নতুন করে (শুক্রবার রাত ৯ টা পর্যন্ত) ৬ জনের মৃত্যু এবং শনাক্ত হয়েছে ১৬ জনের। এ নিয়ে জেলায় মোট করোনায় মৃত্যু হয়েছে ১১০ জনের এবং মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়াল ৬ হাজার ৭৮৩ জন। নতুন আক্রান্তদের মধ্যে করিমগঞ্জে ২ জন, তাড়াইলে ৩ জন, পাকুন্দিয়ায় ১ জন, কটিয়াদীতে ২ জন, ভৈরবে ২ জন, বাজিতপুরে ৪ জন ও মিঠামইনে ২ জন।
সিভিল সার্জন ডা. মুজিবুর রহমান শুক্রবার রাত ১০ টার দিকে এ তথ্য জানিয়েছেন।
সিভিল সার্জন আরও জানান, কিশোরগঞ্জ শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আরটি পিসিআর ল্যাবে যান্ত্রক ত্রুটি থাকায় আজ কোন নমুনা পরীক্ষা করা সম্ভব হয়নি। এদিকে ৮ জুলাই বাজিতপুর জহুরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আরটি-পিসিআর ল্যাবে ৮৩ জনের নমুনা পরীক্ষায় ৭ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এছাড়া করিমগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ৬ জন, তাড়াইল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ১১ জন, পাকুন্দিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ৭ মিঠামইন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ৯ জন ও ভৈরব উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ১ জনসহ মোট ৩৪ জনের রেপিড এন্টিজেন টেস্টে ৯ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে।
এদিকে শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নতুন রোগী ভর্তি হয়েছেন ২৭ জন, সুস্থ হয়ে ছাড়পত্র পেয়েছেন ১২ জন, করোনায় ৪ জন ও সন্দেহজনক ১ জনসহ মোট ৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ হাসপাতালের আইসিইউতে ভর্তি রয়েছেন ১০ জন। গত বুধবার করোনা শনাক্তকৃত সদর উপজেলার ৭০ বছর বয়সী একজন পুরুষ, ২ জুলাই ৬৩ বছর বয়সী একজন পুরুষ, গত ৪ জুলাই হোসেনপুর উপজেলার ৭০ বছর বয়সী একজন নারী ও ভৈরব উপজেলার ৬৫ বছর বয়সী একজন নারী শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন। এছাড়া ভৈরব উপজেলার ৭৭ ও ৫৫ বছর বয়সী দুজন নারী নিজ নিজ বাড়িতে মৃত্যুবরণ করেন। এ নিয়ে জেলায় করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেছেন মোট ১১০ জন।
সিভিল সার্জন আরও জানান, গত ২৪ ঘন্টায় জেলায় করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন ৪৫ জন। এ পর্যন্ত জেলায় মোট ৫ হাজার ৪৪৬ জন সুস্থ হয়েছেন। বর্তমানে জেলায় সর্বেমোট আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ১ হাজার ২২৭ জন। এরমধ্যে কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলায় ৭৪৬ জন, হোসেনপুরে ২৪ জন, করিমগঞ্জে ৪১ জন, তাড়াইলে ৪৩ জন, পাকুন্দিয়ায় ৬৯ জন, কটিয়াদীতে ৯০ জন, কুলিয়ারচরে ১১ জন, ভৈরবে ১৩৪ জন, নিকলীতে ১০ জন, বাজিতপুরে ৩২ জন, ইটনায় ২৩ জন ও মিঠামইনে ৪ জন।
সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, বর্তমানে হোম কোয়ারেন্টাইনে / আইসোলেশনে রয়েছেন ১ হাজার ১৪১ জন। আর হাসপাতাল আইসোলেশনে রয়েছেন ৮৬ জন।
গত ২৪ ঘন্টায় ভ্যাকসিনের জন্য কেউ রেজিস্ট্রেশন করেননি বলে সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে। ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে এ পর্যন্ত রেজিস্ট্রেশন করেছেন ১ লক্ষ ২৭ হাজার ৪৮১ জন। গত ২৪ ঘন্টায় কাউকে টিকা দেওয়া হয়নি। গত ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে এ পর্যন্ত কোভিশিল্ড ভ্যাক্সিনের প্রথম ডোজ টিকা নিয়েছেন ৭৬ হাজার ৬৬৫ জন এবং মোট দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন ৫৯ হাজার ৩০৭ জন। এছাড়া গত ১৯ জুন থেকে সাইনোফার্ম ভ্যাক্সিনের প্রথম ডোজ টিকা নিয়েছেন ১ হাজার ৫৬৭ জন।