স্টাফ রিপোর্টার: কিশোরগঞ্জে ছিনতাইয়ের সময় গণপিটুনিতে আহত তিনজনের পরিচয় পাওয়া গেছে। গণপিটুনির পর তারা অনেকটাই অচেতন অবস্থায় ছিল। আজ রবিবার সকালে জিজ্ঞাসাবাদে পুলিশ তাদের পরিচয় জানতে পারে।
এ তিনজন হলেন কিশোরগঞ্জের কটিয়াদী উপজেলার ধুলদিয়া কুতুবপুর গ্রামের মৃত আব্দুল কাদিরের ছেলে হৃদয় (২২), একই গ্রামের বাচ্চু মিয়ার ছেলে কবীর (২৫) ও ময়মনসিংহের শম্ভুগঞ্জের ময়লাকান্দা এলাকার সোহেলের ছেলে রনি (২২)। তারা বর্তমানে কিশোরগঞ্জ ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। কিশোরগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবু বকর সিদ্দিক বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
পুলিশ জানায়, শম্ভুগঞ্জের রনির সাথে কটিয়াদীর ধুলদিয়ার দুজনের আগে থেকেই পরিচয় ছিল। এ পরিচয়ের সূত্র ধরেই রনি তার চাচাতো ভাইয়ের মোটর সাইকেল নিয়ে কিশোরগঞ্জে আসে। শনিবার রাতে তারা সদর উপজেলার মূল সতাল গ্রামে ছিনতাইয়ের উদ্দেশ্যে গিয়ে গণপিটুনির শিকার হয়।
মূল সতাল গ্রামের মাহতাব উদ্দিন জানান, মূল সতাল গ্রামের আবু বকরের ছেলে শাহরিয়া খান (২১) শনিবার রাত পৌনে ১২ টার দিকে বাড়ির সামনে বসে মোবাইল ফোনে গেম খেলছিল। এ সময় একটি মোটর সাইকেলে তিনজন গিয়ে তার মোবাইল ফোনটি ছিনতাই করে নিয়ে যায়। পালানোর সময় একজনকে জাপটে ধরে ফেলে শাহরিয়া খান । এ সময় এদের মধ্যে একজন ধারালো অস্ত্র দিয়ে শাহরিয়াকে কোপাতে থাকে। তার ডাক চিৎকারে প্রতিবেশি নূরুল্লাহর ছেলে আরিফ (১৮) এগিয়ে গেলে তাকেও কোপায়। পরে আরও লোকজন গিয়ে প্রথমে দুই ছিনতাইকারীকে ধরে ফেলে। অপর একজন দৌড়ে পালানোর সময় লোকজন ধাওয়া দিয়ে তাকেও ধরে ফেলে। পরে তিনজনকে ধরে গণপিটুনি দেয়।
খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ধারালো অস্ত্র ও মোটর সাইকেলসহ তাদেরকে উদ্ধার করে। আহত মূল সতাল গ্রামের আরিফ ও শাহরিয়াকে ময়মনসিংহে রেফার্ড করা হয়েছে।
কিশোরগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবু বকর সিদ্দিক আরও জানান, গণপিটুনির শিকার তিনজনকে কিশোরগঞ্জ হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। ছিনতাইয়ের ঘটনায় আহত আরিফের চাচা শফিকুল ইসলাম বাদী হয়ে আজ রবিবার বিকালে কিশোরগঞ্জ মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন।