বিশেষ প্রতিনিধি: গঠনতন্ত্রবহির্ভূত কর্মকাণ্ড থেকে বিরত থাকতে কিশোরগঞ্জ–২ (কটিয়াদী–পাকুন্দিয়া) আসনের সংসদ সদস্য নূর মোহাম্মদকে সতর্ক করেছে কেন্দ্রিয় আওয়ামী লীগ।
৯ জুলাই কেন্দ্রিয় আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম এমপি স্বাক্ষরিত এক পত্রে বলা হয়, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সকল সাংগঠনিক শাখা কমিটি গঠন, দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতৃবৃন্দ এবং আওয়ামী লীগ মনোনীত সংসদ সদস্যদের কার্যক্রম, মর্যাদা ও ক্ষমতা সম্পর্কে সুস্পষ্ট নির্দেশনা গঠনতন্ত্রে উল্লেখ রয়েছে। আওয়ামী লীগে গঠনতন্ত্র বহির্ভূত প্রক্রিয়ায় শাখা কমিটি গঠন বা নেতৃত্ব নির্বাচনের কোন সুযোগ নেই উল্লেখ করে পত্রে বলা হয়, গঠনতন্ত্র মোতাবেক এ ধরণের কর্মকাণ্ড গর্হিত কাজ।
এই পত্রের মাধ্যমে আরও জানানো হয়, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রিয় কার্যনির্বাহী সংসদের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী গঠনতন্ত্র বহির্ভূত প্রক্রিয়ায় গঠিত কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া উপজেলার ইউনিয়ন কমিটিসমূহ বিলুপ্ত করা হয়। সেই সাথে ভবিষ্যতে গঠনতন্ত্র বহির্ভূত কর্মকাণ্ড থেকে বিরত থাকার জন্য নূর মোহাম্মদ এমপিকে সতর্ক করা হয়। পাশাপাশি জেলা ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাথে সমন্বয় করে দায়িত্ব পালনের জন্য তাকে অনুরোধ করা হয়।
গত ২৪ জুন কিশোরগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক দলের কেন্দ্রিয় কার্যনির্বাহী সংসদের সভাপতি শেখ হাসিনা এমপি বরাবরে নূর মোহাম্মদ এমপির বিরুদ্ধে গঠনতন্ত্র বহির্ভূত কর্মকাণ্ডের বিষয়ে লিখিত অভিযোগ প্রেরণ করেন। অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, গঠনতন্ত্র বহির্ভূত প্রক্রিয়ায় আওয়ামী লীগের জনসভার নামে নূর মোহাম্মদ এমপির নেতৃত্বে পাকুন্দিয়া উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন কমিটি গঠন করা হয়। এসব কমিটি গঠন প্রক্রিয়া বন্ধ করার জন্য জেলা আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে প্রথমে মৌখিকভাবে এবং গত ২১ জুন লিখিত পত্রের মাধ্যমে তাকে জানানো হলেও কমিটি গঠন অব্যাহত রাখেন।
এ প্রসঙ্গে নূর মোহাম্মদ এমপি বলেন, পাকুন্দিয়ায় ১৯/২০ বছর ধরে দলের কমিটি না থাকায় সবকিছুই অগোছালো। এ বিষয়টা মাথায় রেখেই সম্প্রতি ইউনিয়ন কমিটির নেতৃবৃন্দকে নিয়ে আমার বাসায় বৈঠক করি। তারা রেজুলেশন করে আমাকে দায়িত্ব দিয়েছিলেন কমিটিগুলো পুনর্গঠন করার। তারই পরিপ্রেক্ষিতে আমি কমিটিগুলো করার উদ্যোগ নিয়েছিলাম। অনেকটা দায়বোধ থেকেই কাজটা করেছেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমার তো হারাবার কিছু নেই। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী যে দায়িত্ব দিয়েছেন, আমি চেষ্টা করবো সে দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করতে।
উল্লেখ্য, গত বছরের ২০ সেপ্টেম্বর পাকুন্দিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট এএফএম উবায়দুল্লাহ পদত্যাগ করলে উপজেলার সাংগঠনিক কমিটি বিলুপ্ত করা হয়।