করিমগঞ্জ (কিশোরগঞ্জ) প্রতিনিধি: কিশোরগঞ্জের করিমগঞ্জে থানার সামনে পুলিশের উপস্থিতিতে শালিশ চলাকালে প্রতিপক্ষের ছুরিকাঘাতে মজনু মিয়া (২৮) নামের একজন নিহত হয়েছেন।
ঘটনাটি ঘটেছে শুক্রবার বিকেল সাড়ে ৪ টার দিকে।
নিহত মজনু মিয়া জয়কা ইউনিয়নের কান্দাইল খিদিরপুর গ্রামের তোতা মিয়ার ছেলে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, কান্দাইল খিদিরপুর গ্রামের সহোদর দুই ভাই ইয়াকুব আলী ও ইমান আলীর পরিবারের সদস্যদের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে জমি নিয়ে বিরোধ চলছিল। এ নিয়ে শুক্রবার সন্ধ্যার দিকে করিমগঞ্জ থানার ওসির নির্দেশে থানার সামনে একটি চায়ের দোকানে শালিশের আয়োজন করা হয়। শালিশের একপর্যায়ে প্রতিপক্ষের এক ব্যক্তি মজনু মিয়াকে
ছুরিকাঘাত করেন। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকে কিশোরগঞ্জ শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
জয়কা ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্তের মেম্বার খিদিরপুর গ্রামের মো. লিংকন মিয়া জানান, দুই পক্ষের মধ্যে জমি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে দ্বন্দ্ব চলে আসছে। বিগত সময়ে এক পক্ষ আরেক পক্ষের চলাচলের রাস্তা বন্ধ করে দিলে ইউনিয়ন পরিষদের মাধ্যমে সমঝোতায় সমাধান করা হয়।
সাম্প্রতিক সময়ে এক পক্ষ আরেক পক্ষের বাড়ি ঘর ভাঙচুর করায় থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়। অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে ওসির নির্দেশে এসআই আলিম শুক্রবার সন্ধ্যার দিকে এলাকার গণ্যমান্য লোকদের নিয়ে উভয়পক্ষকে থানায় ডাকেন।
প্রত্যক্ষদর্শী রুহুল আমিন মাতব্বর জানান, করিমগঞ্জ থানার সামনে মোখলেছ এর চায়ের দোকানে উভয়পক্ষের মধ্যে শালিশ চলাকালে তর্কাতর্কি শুরু হয়। এ নিয়ে পরে আরেকবার বৈঠকে আলোচনা হবে বলে শালিশ মূলতবি ঘোষণা করা হয়। দোকান থেকে বের হয়ে যাওয়ার সময় মজনু মিয়াকে ছুরিকাঘাত করে প্রতিপক্ষ। তাকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য কিশোরগঞ্জ শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
এ ব্যাপারে রাত ৯ টার দিকে করিমগঞ্জ থানায় গিয়ে ওসি শেখ মোহাম্মদ মাহবুব মোরশেদকে পাওয়া যায়নি। একাধিকবার ফোন দিলেও রিসিভ করেননি তিনি। কিছুক্ষণ অপেক্ষা করার পর ওসি থানায় এলেও সাংবাদিকদের উপস্থিতি দেখে চলে যান।