করিমগঞ্জ (কিশোরগঞ্জ) সংবাদদাতা: লকডাউনে গাড়ি লয়া বাইর অইতে পারিনা। কিন্তু আমরারও তো খাওন পরন লাগে। চেয়ারম্যান – মেম্বাররা আমরার খোঁজ নেয়না। আইজ জঙ্গলবাড়িতে আমার মত অনেকরেই (অনেককেই) চাউল, ডাইলসহ অনেক কিছুই দিছে। আমরা তাদের লাইগ্যা দোয়া করি। আল্লাহ যেন তাদেরকে আরও তৌফিক দেয়। আজ খাদ্য সহায়তা পেয়ে কথাগুলো বলছিলেন কিশোরগঞ্জের করিমগঞ্জ উপজেলার বড়চর গ্রামের রিকশা চালক আবুল কাশেম।
করোনায় লকডাউনের কারণে কর্মহীন হয়ে পড়া আবুল কাশেমের মত ৩০০ পরিবহন শ্রমিককে খাদ্য সহায়তা দেওয়া হয়েছে। আজ মঙ্গলবার বিকালে করিমগঞ্জের জঙ্গলবাড়ি ঈশাখাঁ সমাজ কল্যাণ সমিতি ও কিশোরগঞ্জ জেলা সচেতন নাগরিক সমাজ যৌথভাবে এ খাদ্য সহায়তা প্রদান করে।
জঙ্গবাড়ি ঈদগাহ মাঠে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন কিশোরগঞ্জের পুলিশ সুপার মো. মাশরুকুর রহমান খালেদ বিপিএম (বার)।
কিশোরগঞ্জ জেলা সচেতন নাগরিক সমাজের আহ্বায়ক এমরান আলী ভূইয়ার সভাপতিত্বে আয়োজিত অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন সহকারী পুলিশ সুপার (করিমগঞ্জ সার্কেল) মো. ইফতেখার, করিমগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মমিনুল হক, ঈশাখা সমাজ কল্যাণ সমিতির সভাপতি এডভোকেট মীর ছাত্তার উদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক হাজী রোকন উদ্দিন, জঙ্গলবাড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মীর আশরাফ উদ্দিন, ময়মনসিংহ কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের অধ্যক্ষ মাহতাব উদ্দিন, স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা জামিল আনসারী, আল আমিন লিটন, সাংবাদিক সাইফউদ্দীন আহমেদ লেনিন প্রমুখ। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন কিশোরগঞ্জ যুদ্ধাপরাধ প্রতিরোধ আন্দোলন কমিটির সভাপতি রেজাউল হাবিব রেজা।
অনুষ্ঠানে ৩০০ পরিবহন শ্রমিকের প্রত্যেককে তিন কেজি চাল, আধা কেজি ডাল, আধা লিটার তেল, আধা কেজি চিনি, এক প্যাকেট সেমাই, একটি সাবান ও মাস্ক দেওয়া হয়।
পুলিশ সুপার তার বক্তব্যে বলেন, কেউ যাতে না খেয়ে কষ্ট না পায় সেজন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রী অসহায়দেরকে খাদ্য সহায়তা দিয়ে যাচ্ছেন। আজ যারা পরিবহন শ্রমিকদেরকে খাদ্য সহায়তা দিয়েছেন, তাদের উদ্যোগের প্রশংসা করে তনি বলেন, সমাজের বিত্তবানরা এগিয়ে এলে সমাজের কেউ কষ্টে থাকবেনা। তিনি স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার জন্য সবার প্রতি আহ্বান জানান।
অনুষ্ঠান শেষে পুলিশ সুপার মাশরুকুর রহমান খালেদ বিপিএম (বার) ঈশাখার স্মৃতি বিজড়িত বাড়ি এবং জঙ্গলবাড়ি গ্রামের প্রয়াত ভাষা সৈনিক মিছিরউদ্দীন আহমেদ এর বাড়ি পরিদর্শন করেন।
আপনার মন্তব্য করুন