নিকলী (কিশোরগঞ্জ) সংবাদদাতা: হাওরের কৃষিকে সরকার অতিব গুরুত্ব দচ্ছে। অন্য এলাকায় কৃষি যন্ত্রপাতি ৫০ পার্সেন্ট ভর্তুকিতে দিলেও হাওরে এসব কৃষি যন্ত্রপাতি ৭০ পার্সেন্ট ভর্তুকিতে দিচ্ছে। কৃষিতে যন্ত্রের ব্যবহারের কারণে শ্রমিক সংকট দূর হচ্ছে। আগে যেখানে অনেক শ্রমিক লাগতো, বর্তমানে যন্ত্রের ব্যবহারে কম শ্রমিক দিয়েই কাজ হয়ে যাচ্ছে। তাই বলা যাচ্ছে কৃষিতে যন্ত্রের ব্যবহারে লাভবান হচ্ছে কৃষক।
শনিবার দুপুরে কিশোরগঞ্জের নিকলী উপজেলার ষাইটধার এলাকায় “হাওরাঞ্চলের উপযোগী বারি উদ্ভাবিত কৃষি যন্ত্রপাতির ব্যবহার” বিষয়ক এক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. সায়েদুল ইসলাম।
তিনি আরও বলেন, বর্তমান সরকার কৃষিবান্ধব সরকার। তাই কৃষিকে গুরুত্ব দিয়ে কাজ করে যাচ্ছেন। কৃষি কাজে যন্ত্রের ব্যবহারের ফলে কম সময় ও অল্প খরচে সহজেই ফসল ঘরে তুলতে পারছেন কৃষক।
বারি গাজীপুরের পরিকল্পনা ও মূল্যায়ন উইংয়ের পরিচালক ড. অপূর্ব কান্তি চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত কর্মশালায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. দেবাশীষ সরকার, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর ঢাকা অঞ্চলের অতিরিক্ত পরিচালক এস এম সোহরাব উদ্দিন, নিকলী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এ. এম. রুহুল কুদ্দুস ভূইয়া জনি ও নিকলী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শাকিলা পারভীন।
কর্মশালায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন কিশোরগঞ্জ সরেজমিন গবেষণা বিভাগের (বিএআরআই) ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মোহাম্মদ মহিউদ্দীন।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট কর্তৃক উদ্ভাবিত হাওর উপযোগী বিভিন্ন কৃষি যন্ত্রপাতি প্রদশর্নী করা হয়।
কিশোরগঞ্জ সরেজমিন গবেষণা বিভাগ (বিএআরআই) কর্মশালাটির আয়োজন করে।