নিজস্ব প্রতিবেদক: কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়ায় বিএনপির নেতাকর্মীদের সাথে পুলিশের দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়েছে। এতে পুলিশ, পথচারীসহ দেড় শতাধিক আহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আটক করা হয়েছে বিএনপির ২০ নেতাকর্মীকে।
জ্বালানি তেলসহ দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে শনিবার পাকুন্দিয়ায় কর্মসূচি পালনকালে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
কর্মসূচি চলাকালে পাকুন্দিয়া পৌর সদরের সৈয়দগাঁও চৌরাস্তা এলাকায় সকাল সাড়ে ১০ টার দিকে সংঘর্ষ শুরু হয়। পরে তা বিভিন্ন পয়েন্টে ছড়িয়ে পড়ে। বিএনপি নেতাকর্মীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ব্যাপক ইট পাটকেল ছুড়ে। পুলিশও শটগানের গুলি ও কাদানে গ্যাস ছুড়ে জবাব দেয়। দফায় দফায় বিকাল ৪ টা পর্যন্ত সংঘর্ষ চলে। সংঘর্ষে ১০ পুলিশ, পথচারী ও বিএনপির শতাধিক নেতাকর্মীসহ অন্তত দেড় শতাধিক আহত হয়েছেন।
পাকুন্দিয়া উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক এডভোকেট জালাল উদ্দিন জানান, আমাদের
শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে পুলিশ এবং আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীরা হামলা চালিয়েছে। পুলিশ গুলি ও টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে। এতে শতাধিক নেতা-কর্মী আহত হয়েছেন বলে দাবি করেন তিনি। পাকুন্দিয়া পৌর ছাত্রদলের সদস্য সচিব ফেরদৌস আহমেদ মিজান জানান, সংঘর্ষে তিনিসহ দলের শতাধিক নেতাকর্মী আহত হয়েছেন।
পাকুন্দিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ সাখাওয়াত হোসেন বলেন, বিএনপির সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিলের কোন অনুমতি ছিল না। তারা বেআইনিভাবে সমাবেশ ও মিছিল করছিল। তারা লাঠিসহ দেশিয় অস্ত্র সস্ত্র নিয়ে পুলিশের ওপর হামলা চালায়।
কিশোরগঞ্জ সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আল আমিন হোসাইন জানান, প্রায় সাড়ে পাঁচ ঘন্টা ব্যাপী সংঘর্ষ চলে। এতে পুলিশের অন্তত ১০ জন সদস্য আহত হয়েছেন। সংঘর্ষের ঘটনায় ২০ জনকে আটক করা হয়েছে বলে জানান তিনি।