ভৈরব (কিশোরগঞ্জ) সংবাদদাতা: কিশোরগঞ্জের ভৈরবে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে দুইপক্ষের সংঘর্ষে তিনজন গুলিবিদ্ধসহ ২০ জন আহত হয়েছেন। শনিবার (২৪ সেপ্টেম্বর) বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে পৌর শহরের ভৈরবপুর এলাকায় সংঘর্ষের ঘটনাট ঘটে। এ সময় ১০টি দোকান ভাঙচুর ও লুটপাট করা হয় বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। সংঘর্ষ থামাতে পুলিশ ৪২ রাউন্ড শটগানের গুলি ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
পুলিশের গুলিতে গুরুতর আহত ইমতিয়াজ আহমেদকে (৩৫) উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। আহত ইমতিয়াজ ভৈরবপুর উত্তরপাড়া এলাকার আবু সাঈদের ছেলে। এছাড়াও গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হন একই এলাকার অপু (২৭) ও দুর্জয় (২২)। আহত অন্যরা হলেন রাবিম (১৬), রাফসা (৬), মবিন (২০), রাশিদ মিয়া (২৫) ও খোকন মিয়া (১৪)। তাদের অনেকে ইটপাটকেলের আঘাতে আহত হয়েছেন। ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। তবে কী ঘটনা নিয়ে এ সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়েছে স্থানীরা কেউ বলতে পারছেন না।
ভৈরব উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত চিকিৎসক রৌশন আরা নিপা জানান, তিনজন গুলিবিদ্ধ হয়ে হাসপাতালে আসেন। তাদের মধ্যে ইমতিয়াজ নামের এক যুবকের অবস্থা গুরুতর বলে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়। এ পর্যন্ত আহত ২০ জনের চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। গুলিবিদ্ধ অপর দুইজনকে হাসপাতালেই চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।
ভৈরব সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার মো. রেজওয়ান দীপু জানান, কী কারণে এই দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে তা এখনও জানা যায়নি। তবে দুই তরুণের ঝগড়াকে কেন্দ্র করে এই সংঘর্ষের সূত্রপাত ঘটেছে বলে প্রাথমিভাবে জানা গেছে। পরে তা দুই পক্ষের আধিপত্য বিস্তারের লড়াইয়ে রূপ নেয়। সংঘর্ষ থামাতে গিয়ে পুলিশের ছয় সদস্য আহত হয়েছেন। বর্তমানে এলাকার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। এ ঘটনায় কেউ গ্রেফতার নেই এখনও কোনো মামলাও হয়নি।পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।