আদালত প্রতিবেদক: কিশোরগঞ্জ এক আইনজীবীকে মারধরের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় হাইকোর্টের নির্দেশে পুলিশি নিরাপত্তায় আদালতে হাজির হওয়া কিশোরগঞ্জের ১০ আসামির মধ্যে ৭ জনের জামিন ও ৩ জনকে কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত।
মঙ্গলবার কিশোরগঞ্জের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-১ এর বিচারক মো. রফিকুল বারীর আদালতে হাজির হলে ৭ জনের জামিন মঞ্জুর ও ৩ জনের জামিন বাতিল করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
আসামিরা হলেন কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার চৌদ্দশত ইউনিয়নের খালের পাড় গ্রামের মো. রাসেল মিয়া (৪০), মো. জুবায়ের মিয়া (৩৭), মো. ফাইজুল ইসলাম (৫০), মো. কফিল উদ্দিন (২৮), মো. রাজিব মিয়া (২৫), মো. মকবুল হোসেন রুবেল (৩৪), মো. সোহেল মিয়া (৩০), মো. নজরুল ইসলাম (৪৮), আ. মালেক (৬০) ও মো. আ. কাইয়ুম (ধনু মিয়া) (৬০)। তাদের মধ্যে মো. রাসেল মিয়া, মো. জুবায়ের মিয়া ও মো. ফাইজুল ইসলামের জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠায় আদালত।
ঘটনার বিবরণে জানা গেছে, জমি সংক্রান্ত বিরোধকে কেন্দ্র করে কিশোরগঞ্জ আদালত চত্বরে উকিল সালিশ ডাকা হয়। ওই বৈঠকের এক পর্যায়ে মারধরের অভিযোগ এনে গত ১২ অক্টোবর কিশোরগঞ্জ আইনজীবী সমিতির সদস্য এডভোকেট এম আব্দুর রউফ একটি মামলা দায়ের করেন। ১২ জনকে আসামি করে কিশোরগঞ্জের দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে মামলাটি দায়ের করা হয়।
এ মামলায় গত ২২ অক্টোবর হাইকোর্ট ১০ জনকে আগাম জামিন মঞ্জুর করেন। একই সঙ্গে ৬ সপ্তাহের মধ্যে তাদেরকে কিশোরগঞ্জ আদালতে আত্মসমর্পণ করতে বলা হয়। কিন্তু আসামিরা কিশোরগঞ্জ আদালতে হাজির হতে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন মর্মে হাইকোর্টে আবেদন করেন। আবেদনের শুনানিকালে হাইকোর্ট ১০ জনকে পুলিশি নিরাপত্তা দিয়ে কিশোরগঞ্জ আদালতে নিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দেন।
রাষ্ট্রপক্ষে মামলাটি শুনানি করেন এডভোকেট মো. আতিকুল হক বুলবুল। তিনি জানান, আমরা আসামিদের জামিন বাতিলের প্রার্থনা করলে আদালত ৩ জনের জামিন বাতিল করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
কিশোরগঞ্জ আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট মো. আমিনুল ইসলাম রতন জানান, আসামিগণ গত ১৯ অক্টোবর হাইকোর্ট থেকে ৬ সপ্তাহের অন্তর্বর্তীকালীন জামিন লাভ করেন। ১০ নভেম্বর কিশোরগঞ্জের চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে আআইনজীবী সমিতির সদস্য এডভোকেট আসাদুজ্জামান ভূঁইয়া উৎপলের মাধ্যমে জামিননামা দাখিল করেন। ওই সময়েও আসামিরা আদালতে উপস্থিত ছিলেন। তখনও তাদের নিরাপত্তাহীনতার কোনো সমস্যা ছিলনা। আজকেও আসামিদের আদালতে উপস্থিত হতে নিরাপত্তাহীনতার কোনো সমস্যা ছিলনা বলে দাবি করেন তিনি।
এদিকে আসামিদের আইনজীবী এডভোকেট আসাদুজ্জামান ভূঁইয়া উৎপল জানান, মামলার বিষয়ে সঠিক ধারণা না থাকায় আসামিরা নিরাপত্তাহীনতার ঝুঁকি মনে করেছেন। এর আগেও নির্বিঘ্নে আসামিরা আদালতে হাজির হয়েছেন। আজকেও তারা আদালতে নির্বিঘ্নে হাজির হয়েছেন।
